দেওয়াল পত্রিকা
সৌজন্যঃ ফকির লালন শাহ
উপদেষ্টা- মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম , প্রধান শিক্ষক, তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বিশেষ সহযোগিতায়- মোছা: শামসুন্নাহার, উম্মে ফাতেমা আখতার, রওনাক কবির, সহকারী শিক্ষক, তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সম্পাদনায়: মোঃ রাফিউল ইসলাম ১০ম -৩, মোছাঃ তানিয়া খাতুন ৮ম -১
সার্বিক সহযোগিতায় – ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসুচি, পেইস , কুষ্টিয়া
পরিকল্পনা ও বাসবায়নে - মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম , প্রধান শিক্ষক, তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোছা: তমা খাতুন ৬ষ্ট- ১৩
মনের মাঝে লালন
লালন কি জাত জানেনা কোন বিজ্ঞজনে,
তার পরিচয় আঁকা সুদূর বিশ্ব পরিভ্রমে।
তাকে নিয়ে হচ্ছে কত কবিতা, গান আর গবেষনা,
তবুও যেন হয় না শেষ তার মরন মূর্ছনা।
জন্ম নিলাম মোরা তোমার কত যুগ পরে
তবুও যেন মনে হয় তুমি আছ আমাদেরই মনে।
যখনই শুনি তোমার আধ্যাত্মিক গান,
কুটিলতা জটিলতা থেকে অব্যহতি পায় প্রাণ।
মোছা: তানিয়া খাতুন ৮ম-১
`
মানবতা বাদী মরমি কবি লালন শাহ্
তার শিষ্যত্ব সাধক হিসেবে ছিলেন সিরাজ শাহ্
বিদ্যা লাভ না করেও নিজের চিন্তা সাধনার তিনি কবি
গানের মাধ্য মানবের অন্ত আঁকা রয়েছে তাঁর ছবি
আদ্ধান্তিক গান গুলোতে মোরা পায় তাঁর মহমনের পরিচয়
গান গেয়ে বেড়ান রাস্তায় রাস্তায় মরমি চিন্তা সাধনায়
লালন বলেন জাত কি জিনিস জানি না
ধর্মে কোন ভেদাভেদ আছে বলে মনে করেন না
মানব জাতে ধর্ম ভেদে নেই কোন ভিন্নতা
সকল মানব এক স্রষ্টার এই তার জ্ঞানের অভিজ্ঞতা
তার আলোকে বিচার জাতি ধর্ম গোত্র বলতে কিছু নাই
মৃত্যুর পর সব মানব চলে যায় এক ঠিকানায়।
"যখন তুমি কোন ভুল করে ফেল, তখন এর
পিছনে বেশি সময় ব্যায় করো না। ভুলের
পিছনের কারণগুলোকে মনের মধ্যে গেঁথে নাও
এবং সামনে তাকাও। ভুল তোমাকে শিক্ষা দেয়
জ্ঞানী হয়ে উঠ...
আমার ফুলবাগানের ফুলগুলিকে
ফুলবাগানের ফুলগুলিকে বাঁধব না আজ তোড়ায়-
রঙ-বেরঙের সুতোগুলো থাক্,
থাক্ পড়ে ওই জরির ঝালর।।
শুনে ঘরের লোকে বলে,
'যদি না বাঁধো জড়িয়ে জড়িয়ে
ওদের ধরব কী করে-
ফুলদানিতে সাজাব কোন্ উপায়ে?'
আমি বলি,
'আজকে ওরা ছুটি-পাওয়া নটী,
ওদের উচ্চহাসি অসংযত,
ওদের এলোমেলো হেলাদোলা
বকুলবনে অপরাহ্নে,
চৈত্রমাসের পড়ন্ত রৌদ্রে।
কুষ্টিয়ার ইতিবৃত্ত
======================================
সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে পদ্মা নদীর অপর তীরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত।
ভারতের সাথে কুষ্টিয়ার ৪৬.৬৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা আছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশকে করেছে সমৃদ্ধ।
এছাড়াও বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন এবং বাউল সম্রাট লালনের তীর্থভূমি, পুরাতন কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর গ্রামে গীতিকার, সুরকার ও কবি আজিজুর রহমানের বাস্ত্তভিটা ও কবর, এ জনপদে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট কবি দাদ আলী, লেখিকা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা, ‘‘এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান, কুষ্টিয়ার সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠাতা কাঙাল হরিণাথ, নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী, স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন, প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সঙ্গীত শিল্পী মোঃ আব্দুল জববার, ফরিদা পারভীন সহ অসংখ্য গুণীজনের পীঠস্থান কুষ্টিয়াকে সমৃদ্ধ করেছে।
মো: রাফিউল ইসলাম -১০ম-৩
Lalon নামের সার্থকতা
L= Lovely ( লাবণ্যময়ী)
A= Accompanist ( গীত অনুরাগী)
L= Longing- Knowledge (জ্ঞান পিপাসু)
O= Open-Hearted ( মক্ত মনের অধিকারী)
N= Non-Commlinal ( অসাম্প্রদায়িক)
সাজ্জাদ হোসেন ৮ম-৪
স্বার্থক
ধন্য ধন্য তোমারি জন্য
তুমি জন্মে দিলে বলে
আজ আমরা হয়েছি ধন্য
তুমি ছিলে বলে কুষ্টিয়া জাগ্রত
তুমি ছিলে বলে আমার জন্ম স্বার্থক
তমা খাতুন ৬ষ্ট ১৩
স্মরণীয় বরণীয়
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
গানের জনক ফকির লালন
সাহিত্যর মহা গুরু রবী ঠাকুর
বিদ্যেহী কবি নজরুল
শ্যামল বাংলার কবি জসিম উদ্দীন
জ্ঞানের সাধক লালন ফকির
সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ (সাঃ)
মোছা: তামান্না খাতুন-৭ম-১৪
গান
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
তোমার আসায় বইসা থাকি নদীটির ঐ পাড়ে
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
তোমার ঐ নদীর তীরে বসে আছি অনেক কাল ধরে
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
তোমার আসায় বইসা থাকি নদীটির ঐ পাড়ে
লালন তোমায় খুজি সারাটি জীবন ভরে
না পাইলাম পর না পাইলাম লালনরে
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
তোমার আসায় বইসা থাকি নদীটির ঐ পাড়ে
আসায় আসায় জীবন গেল, না দেখিলাম লালনরে
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
তোমার আসায় বইসা থাকি নদীটির ঐ পাড়ে
লালন তোমার আলসে নগর আর কত দূর
আজ ফাগুনে তোমার মনে
হয়তো খুশির বান,
তোমার সাথী তোমার সাথে
কাঁদে আমার প্রাণ।
সবুজ পাতার শাখায় বসে
বনের কোকিক ডাকে,
আমার বুকে কষ্ষ্টরা আজ
সুখের স্বপন দেখে।
গোলাপ তুলে দিলেম যাকে
হয়তো সে আজ দুরে
হাজার ফুলের মাঝে সে ফুল
আসবে না আর ঘুরে।
আমার চেনা মুখের ছবি
অচেনা আজ তাই যে,
সুখের তরে ঘর বেধেছে
অন্য কারো আজ সে ।
মনে কর আজ বৃষ্টি নেমেছে আকাশ ভেঙে চূড়ে
মনে কর আজ আরেক বৈশাখ এসেছে বছর ঘুরে
মনে কর আজ কৃষ্ণচূড়ার আগুন লেগেছে বনে
মনে কর তোমার যা ইচ্ছা, মনে কর মনে মনে ৷
মনে কর আজ দেবতারা সব গাইছে প্রেমের গান
ফেরেশতা যত, তাদের সাথে মিলায় ঐক্যতান
মনে কর আজ ছেলেবেলা আবার এসেছে ফিরে
তালপাতার বাঁশি বেজেছে আবার ঠিক তেমনি সুরে ৷
মনে কর আজ সারা রাত্রি চোখে নেইকো ঘুম
জৈষ্ঠ্যের ঝরে আবার মেতেছে আম কুড়াবার ধুম
মনে কর আজ ভরা দুপুরে সূর্য্য গিয়েছে পাট
আকাশ জুরে উঠেছে ফুটে নকশী কাঁথার মাঠ ৷
মোছা: নিলা খাতুন ৭ম-৫
আমি আর কতোটুকু পারি ?
কতোটুকু দিলে বলো মনে হবে দিয়েছি তোমায়,
আপাতত তাই নাও যতোটুকু তোমাকে মানায়।
ওইটুকু নিয়ে তুমি বড় হও,
বড় হতে হতে কিছু নত হও
নত হতে হতে হবে পৃথক পাহাড়,
মাটি ও মানুষ পাবে, পেয়ে যাবে ধ্রুপদী আকাশ।
ফারজানা ইয়াসমিন -৭ম-১
কাজের মাঝে
কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।
নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।
তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।
মো: জনি আলী ৭ম-২
সাধক হতে চাই
আমরাও তোমার মত সাধক হতে পারি।
আমরাও সাধক হতে চাই।
নবজাতকের মত জন্ম দিতে পারি
শব্দের প্রাচুর্য্যে,ছন্দের মাধুর্যে
শিল্পের ঐশ্বর্যের মাখামাখির
এক একটি বলিষ্ঠ গান।
শারমিন আখতার ১০ম ১
লালন আছে বলে
তুমি তো শুধু লালন নও
তুমি হলে বাউল সম্রাট
তুমি ছিলে, তুমি আছো
তুম থাকবে অন্ত কাল
তোমাকে পেয়ে হয়েছি আমরা” ধন্য
নদী কিংবা বিল বাঁওড় খাল
সর্ব স্তরে একই সে জন
এ কি মোর তোমার সাধনা
মো: আশিক আলী ৯ম-১০
বিনয়
ফকির লালন কয় বিনয় করে
ভাব দিয়া খোলা ভাবের তালা
দেখবিরে মানুষের খেলা
খুচে যাবে শমন জ্বালা ঐ রূপ- নেহারে
অমনি যে ভাব যায় গো সরে।
ভাব নইলে ভক্তিতে কি হয়
ফকির লালন কয় বিনয় করে।।
মো: রাফিউল ইসলাম ১০ম ৩
ধাঁধাঁ
তিন অক্ষরের নাম যার বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের কোথায় নাই। শেষ অক্ষর বাদ দিলে রং এ প্রকাশ পাই।
মেহেরুন নেছা মীম ৬ষ্ট ৩০
লালনের জীবন কথা
বহু দিন আগের কথা । একটি শিশুকে পেয়েীছল এক ব্রাক্ষণ। সেই শিশুটিই হলো লালন। তার জন্ম কোথায় কেউ তা জানে না। তিনি একজন সাধক বাউল। তার জন্ম তারিখ অজ্ঞাত। তার কাছ থেকে কবিরা বহু শিক্ষা পেয়েছেন।তিনি হিন্দু, মুসলমান না অন্য ধর্মের মানুষ ছিলেন তা কেহ বলতে পা নাই। তার মূত্য হল ১৭ অক্ঠোবর ১৮৯০ সাল।
লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঞ’’ বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত। চট্টগ্রাম,রঙপুর, যশোর এবং পশ্চিমে অনেক দূর পর্য্যন্ত বাংলার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বহুসংখ্যক লোক লালন ফকীরের শিষ্য ছিলেন; শোনা যায় তার শিষ্যের সংখ্যা প্রায় দশ হাজারের বেশি ছিল।এছাড়া লালন সংসারী ছিলেন বলে জানা যায়। তার সামান্য কিছু জমি ও ঘরবাড়ি ছিল।
1। শিক্ষক :- বলতো ’সামথিং ইজ
বেটার দান নাথিং ’ এর অর্থ কি?
ছাত্র :- স্যার! সামসুদ্দিনের বেডার ঘরের নাতিন।
2। ছেলে :- বাবা, মনে আছে, তোমাকে যে কলেজ থেকে বের-করে দেয়া হয়েছিল- সেই ঘটনা আমাদের একবার বলেছিলে?
বাবা :- হ্যাঁ, কেন?
ছেলে :- না, ভাবছি- ইতিহাস কিভাবে ঘুরে ঘুরে আসে?
3। বাড়িওয়ালা :- খোকা তোমার আব্বু আছেন?
খোকা :- জি না ।
বাড়িওয়ালা :- কখন আসবেন?
খোকা :- আপনি চলে গেলেই উনি খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে আসবেন।
4। এক লোক একবার ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে পেপার পড়ছিল । ইতিমধ্যে মশা খুব উৎপাত শুরু করে দিলো। তাই সে মশা মারতে লাগল। কিছুক্ষন এভাবে চলার পর স্ত্রী জিজ্ঞেস করল,
স্ত্রী :- ওগো কয়টা মশা মারলে?
স্বামী :- ৮ টা । এর মধ্যে ৩ টা পুরুষ আর বাঁকি ৫ টা স্ত্রী মশা।
স্ত্রী :- কি করে বুঝলে?
স্বামী :- ৫ টা মেরেছি ড্রেসিং টেবিল থেকে আর ৩টা মেরেছি পেপাrer উপর থেকে । সাধারনত পুরুষরা পেপার পড়ে আর মেয়েরা থাকে ড্রেসিং টেবিলের কাছে। সুতরাং--------
5। ইন্টারভিউ কক্ষে এক অল্প
শিক্ষিত ব্যাক্তি ইন্টারভিউ দিচ্ছে।
প্র: কর্তা :- তুমি ইংরেজী গ্রামারের
কোন অংশ ভালো পার? স্যার ট্রান্সলেশন ভালো পারি।
প্র: কর্তা :- তাহলে বলতো ’সে গেলো তো গেলো এমনভাবে গেলো আর ফিরে এল না’ এর ইংরেজী কি হবে?
চটপট্ স্যার- "হি ওয়েন্ট টু ওয়েন্ট এমনভাবে ওয়েন্ট আর ডিড নট কাম।"
6। স্বামী অফিস থেকে ফিরে সাহাস্যে বউকে বললেন - কাল তোমার জন্মদিন এই নেকলেসটা এনেছি ।বৌ অনুযোগে করে করে বলে - কিন্তু তুমি বলেছিলে এবার একটা টিভি উপহার দিবে ।
স্বামীর উত্তর- হ্যাগো বলেছিলাম । কিন্তু ইমিটেশনের টিভি যে এখনো বাজারে পাওয়া যায় না । প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমার মামার বাড়িতে এত বড় আম হয় যে দুটিতেই এক কেজি হয়ে যায়! দ্বিতীয় বন্ধুঃ আরে তুই জানিস, আমার মামাবাড়িতে এত বড় বড় আম হয় যে চারটিতেই এক ডজন হয়ে যায়!
ভালো না বাসলে দুর্দিনে
তীব্র সংগ্রামে বেঁচে ওঠা যায় না
ধূলিমুঠি থেকে পাথর
পাথর থেকে সোনা হয় না।
ভালো না বাসলে ফুটন্ত ফুল
সাজানো বাগান সজীব হয় না
পেয়ালা-পিরিচের নিত্য আওয়াজে
টক্কর দেয়া যায় না।
ভালো না বাসলে কস্মিনকালে
পাখি দেখার শখ হয় না
পাখি দেখতে দেখতে
পাখি দেখার নেশায়
নিজের বাড়িটা পাখির খাঁচা হয়ে যায় না।