Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

সুষম খাদ্য ও সুষম খাদ্য পিরামিড

খাদ্যঃ পুষ্টি বিজ্ঞানের মতে আমারা যা খাই তাকেই খাদ্য বলা যায় না।খাদ্য বলতে বুঝায় সেই সব অপরিহার্য বস্তুকে যা আমদের দেহের বৃদ্ধি, শক্তি উৎপাদন ও রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণ করে।এক কথায় দেহের পুষ্টি সাধন করে এমন বস্তুকে আমারা খাদ্য বলি।

খাদ্যের উপাদানগুলো হলঃ শর্করা, আমিষ,স্নেহ,ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি।

আমরা যদি প্রয়োজন থেকে কম খাবার খাই তাহলে আমদের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। আবার প্রয়োজন থেকে বেশি খেলেও তাতে আমাদের শারীরিক সমস্যা ঘটে। তাই আমাদের শারীরিক সুস্থ রাখার জন্য সবসময় সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। 

সুষম খাদ্য বলতে কোন নির্দিষ্ট খাদ্যকে বুঝায় না।প্রকৃতিতেও সুষম খাদ্য পাওয়া যাবে না।সুষম খাদ্য নিজেই তৈরি করে নিতে হবে।যে খাদ্য ছয়টা উপাদানের গুনাগুন অনুসারে উপযুক্ত পরিমাণে থাকে এবং যে খাদ্য গ্রহন করলে দেহে স্বাভাবিক কাজ কর্মের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে ক্যালরি পাওয়া যায়,তাকে সুষম খাদ্য বলে।একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ কর্মশীল পুরুষের প্রতিদিন ২৫০০ ও নারীর ২০০০ কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন। এ শক্তি বা ক্যালরি আমরা পাই খাদ্য থেকে।সেজন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায়  ৬ টি উপাদান থাকে এভাবেই খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।

সুষম খাদ্যতালিকা তৈরির সময় বয়স, লিঙ্গভেদে,অধিক পরিশ্রম, কম পপরিশ্রম, মাঝারি পরিশ্রমের ইত্যাদি বিবেচনা করে খাদ্য তালিকা করতে হবে।

শিশু ও বৃদ্ধদের খাদ্য তালিকায় সহজপাচ্য এবং চর্বি বর্জিত খাদ্য প্রাধান্য থাকতে হবে।

বাড়ন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে প্রোটিনজাতীয় খাদ্য এবং হাড় ও দাতেঁর বৃদ্ধির জন্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস খাদ্য থাকতে হবে।

সুষম খাদ্য পিরামিডঃ শর্করাকে নিচে রেখে পরিমাণ বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে শাক-সবজি, ফলমূল,আমিষ,স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্যকে সাজালে যে কাল্পনিক পিরামিড তৈরি হয় তাকে সুষম খাদ্য পিরামিড বলে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি