Loading..

ম্যাগাজিন

১৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৫:০৮ অপরাহ্ণ

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯১,৬৩৪ সদস্য বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সূচনা হয়।

প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য এবং বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন। তাছাড়াও জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকেন।

মুক্তিবাহিনীর বিজয়

মুক্তিবাহিনী হলো ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালি ছাত্র, সাধারণ জনতা ও সেনা সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনী। এ বাহিনীই মুক্তি বাহিনী হিসেবে পরিচিত। ২৬শে মার্চ ১৯৭১ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর ধীরে ধীরে সাধারণ বাঙ্গালীর মনে গড়ে ওঠে যুদ্ধের এ শক্তি। পরবর্তীতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার পূর্ব পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্যদের নিয়ে “বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী” গঠন করেন এবং জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী প্রাধান সেনাপতি পদ গ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারত সরকার আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেন। সাধারণ জনতা যুদ্ধকালীন সময়ে নিরলসভাবে এই বাহিনীকে সাহায্য করে যায়। মুক্তিবাহিনী বেশির ভাগ সময়ই গেরিলা যুদ্ধের নীতি অবলম্বন করে শত্রু পক্ষকে পরাজিত করে।

পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ

দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। সেদিন ঢাকার কেন্দ্রস্থলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চীফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী উপস্থিত ছিলেন না।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি