Loading..

খবর-দার

১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৩৩ অপরাহ্ণ

১ পৃষ্ঠা ফরম পূরণ করেই আয়কর দিন।
খুব সহজেই রিটার্ন জমা দিন। আমি আজকে দিয়ে আসছি। এই ফরম টা ফিলআপ করে, সাথে এনআইডি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং টিন সার্টিফিকেটের কপি, ১ কপি pp সাইজ ছবি( যাদের এফডিআর / সঞ্চয়পত্র আছে সেটার কপিও দিবেন)। ট্যাক্স অফিসে আমার মাত্র ২ মিনিট সময় লেগেছে।
> ফরম টি এনবিআরের ফর্ম অপশনের একদম নিচের দিকে পাওয়া যাবে। ফর্মটির নাম IT-GHA2020
রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখঃ ৩১/১২/২০২০

আয়করের হিসাব:-
মূলবেতন ও ঈদ বোনাস করযোগ্য আয়। বাড়িভাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসা, টিফিন ও নববর্ষ ভাতা করমুক্ত আয়। সরকার অনুমোদিত যে কোন বিনিয়োগের (যেমন: প্রভিডেন্ট ফান্ড, বি এফ ফান্ড, এফ ডি আর, এস ডি পি এস, সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে বিনিয়োগ, জীবন বীমা পলিসি, দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান ইত্যাদি) উপর ১৫% কররেয়াত পাওয়া যাবে। নীট করের পরিমাণ ঋনাত্মক বা শূণ্য হলেও পুরুষের বাৎসরিক আয় ২,৫০,০০০ এবং মহিলাদের ৩,০০,০০০ টাকার বেশি হলেই তাকে সর্বনিম্ন আয়কর দিতে হবে। অর্থাৎ নিম্ন আয়ের লোকদের কররেয়াত কাজে আসছেনা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে অবস্থানকারীদের সর্বনিম্ন আয়কর ৫,০০০ অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ৪,০০০ এবং অন্যান্য এলাকায় ৩,০০০ টাকা। যেসব চাকুরীজীবির মূলবেতন ১৬,০০০ বা এর উর্ধ্বে কিন্তু বাৎসরিক আয় ২,৫০,০০০(পুরুষ) বা ৩,০০,০০০(মহিলা) এর কম অভ্যাস সৃষ্টির জন্য তাদের শুধু রিটার্ন জমা দিতে হবে কর দিতে হবে না।

১ পৃষ্ঠা ফরম পূরণ করেই আয়কর দিন।

এক পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করেই এবার আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া যাবে। প্রথমবারের মতো এক পৃষ্ঠার ফরম চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এক পৃষ্ঠায় সব তথ্য দিতে হবে। আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার কম হয়, তাহলে এক পৃষ্ঠার আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ করতে হবে, তবে সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকার কম হতে হবে। এর ফলে লাখ লাখ ছোট করদাতার জন্য বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া সহজ হয়ে গেল।
চলতি অর্থবছর থেকে এমন স্বল্প আয়ের করদাতাদের জন্য প্রথমবারের মতো এমন ঝক্কিঝামেলাহীন রিটার্ন ফরম প্রবর্তন করেছে এনবিআর।
৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই এক পৃষ্ঠার ফরম পূরণ করে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিলেই চলবে। খুব বেশি তথ্যও দিতে হবে না। এক পৃষ্ঠার ফরমে করদাতার ছবি, নাম, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), কর অঞ্চল ও সার্কেল, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। এ ছাড়া করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ও করের পরিমাণ লিখতে হবে। লিখতে হবে সম্পদের পরিমাণ ও আয়ের উৎস। এ ছাড়া আপনি যে ব্যাংক ও চালানের মাধ্যমে কর দিচ্ছেন, তার নম্বর দিতে হবে। এই অল্প কিছু তথ্য দিয়েই আপনি রিটার্ন ফরম পূরণ করতে পারবেন। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হয়ে যাবে ফরম পূরণ।
খুব বেশি তথ্য দিতে হবে না। এক পৃষ্ঠার ফরমে করদাতার ছবি, নাম, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), কর অঞ্চল ও সার্কেল, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। এ ছাড়া করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ও করের পরিমাণ লিখতে হবে। লিখতে হবে সম্পদের পরিমাণ ও আয়ের উৎস। এ ছাড়া আপনি যে ব্যাংক ও চালানের মাধ্যমে কর দিচ্ছেন, তার নম্বর দিতে হবে।
তবে বার্ষিক আয় চার লাখ টাকার কম হলে কিংবা ৪০ লাখ টাকার কম সম্পদ থাকলেও কোনো করদাতার যদি একটি গাড়ি থাকে, কিংবা সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকে, তাহলে তাঁদের জন্য এক পৃষ্ঠার ফরম প্রযোজ্য হবে না। তাঁদের সেই পুরোনো ফরমে রিটার্ন দিতে হবে।
গত জুন মাসে বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল স্বল্প আয়ের করদাতাদের জন্য এক পৃষ্ঠার ফরমের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরেই এক পৃষ্ঠার ফরম প্রকাশ করে এনবিআর।
আয়কর বিবরণীয়র সনাতনী বিশাল ফরমের কারণে অনেকে কর দিতে চান না। ফরম পূরণও বেশ জটিল। তাই নতুন এক পৃষ্ঠার ফরম প্রবর্তন হওয়ায় স্বল্প আয়ের করদাতাদের জন্য সুবিধা হলো। দীর্ঘদিন ধরেই রিটার্ন ফরম সহজ করার জন্য দাবি করে আসছিলেন করদাতারা।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। প্রতিবছর ২২ থেকে ২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন দেন। চলতি বছর থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে সব টিআইএনধারীর রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এনবিআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের আয়কর পরিপত্র ও নির্দেশিকায় এক পৃষ্টার ফরম আছে। সেখান থেকে প্রিন্ট নিয়ে তা পূরন করে জমা দিলেই হবে। আবার প্রতিটি কর অঞ্চলে ইতিমধ্যে কর মেলার আদলে ওয়ানস্টপ সেবা চালু করেছে। সেখানেও করদাতাদের জন্য বিনামূল্যে এক পৃষ্টার ছাপানো ফরম বিতরণ করা হচ্ছে।