Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ০১:৪১ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষায় আইসিটি সমপ্রসারণে বিশেষ ক্যাম্পেইন

একটি স্বপ্ন ও বাস্তবায়ন

একটি স্বপ্ন ও বাস্তবায়ন 

গাছ আমরা অনেকেই কম বেশি রোপন করি। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে সেটি হয়ত আর বেড়ে উঠতে পারেনা। তেমনি স্বন আমরা অনেকেই দেখি কিন্তু বাস্তবায়নের দূর্বলতায় অধরাই থেকে যায়। আমরা কুমিল্লার প্রাথমিকের এম্বাসাডর ফোরামও তেমনি স্বপ্ন দেখেছি জেলার শতভাগ শিক্ষককে শিক্ষক বাতায়নের সক্রিয় সদস্য করাবো। আর তা বাস্তবায়নের জন্যে গত ১৭ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আব্দুল মান্নান স্যারের সাথে সকল এম্বাসেডর সম্মিলিত বৈঠক করি এবং তা বাস্তবায়নের জন্যে ২ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করি। তারপর পুরো কুমিল্লা জেলাকে ৭৪ টি জোনে ভাগ করে ৯টি টীম সাজাই এবং সেমতে একটি রুটিনও দাঁড় করি। কুমিল্লার প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষককে আমরা ইউনিট ধরেছি। প্রতি জোন বা ভেন্যুতে আমরা ২৫ জন শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আর টীম সদস্য থাকবেন ৩জন। মাননীয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের মাধ্যমে একটি চিঠি ইস্যু করিয়ে নেই। যা প্রতিটি উপজেলায় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেন। তৎপরবর্তীতে প্রতিটি উপজেলাও নিজ উপজেলার জন্যে আমাদের রুটিন অনুযায়ী ভেন্যু নির্ধারণ করে একটি অফিস আদেশ দেন। আমরা চান্দিনা উপজেলার সম্মানিত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও কুমিল্লা অনলাইন প্রাইমারি স্কুলের অন্যতম এডমিন জনাব নিজাম উদ্দিন স্যারকে আমাদের এই পরিকল্পনার অভিভাবক নির্বাচন করি। স্যারের অত্যন্ত দক্ষতাপূর্ণ নৈপুণ্যে আমাদের কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হতে থাকে। প্রতিদিন কর্মশালা শেষে সবাই বাসায় ফিরে রাতেই দিনের কার্যাবলী নিয়ে জুম মিটিং পরিচালিত হতো। পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা হতো। আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণের সময় কুমিল্লায় বাতায়ন সদস্য ছিল ৫৭২ জন। কুমিল্লায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন প্রায় সাড়ে তেরো হাজার। আমাদের টার্গেট সকল শিক্ষক। কর্মশালায় আমরা আগত সকল শিক্ষককে বাতায়ন সদস্য করেছি এবং যাঁদের ইমেইল আইডি ছিলনা তাঁদের আইডি করে দিয়েছি। কিভাবে সদস্য করাতে হয় তা ভালো ভাবে আয়ত্ব করতে সাহায্য করেছি। প্রতি ভেন্যুর জন্যে একটি মেজেঞ্জার গ্রুপ করে দিয়েছি এবং একজন এম্বাসেডরকে সংযুক্ত করিয়েছি। যাতে পরবর্তীতে ফীডব্যাক দেয়া যায়। একটি গুগল লিংক সরবরাহ করেছি। যেখানে নব নিবন্ধিত সকল শিক্ষকের যাবতীয় তথ্য রয়েছে। উপস্থিত সকল শিক্ষকের তথ্য সমৃদ্ধ রেজিস্ট্রার করেছি। সর্বশেষ সকল শিক্ষককে ডিপিইও স্যারের নির্দেশনা স্মরণ করে দিয়েছি। যাতে উনারা প্রত্যেকেই ২০ ডিসেম্বর এর আগেই নিজ বিদ্যালয়ের সকল সহকর্মীকে সদস্য করে নেন। আমাদের এই কর্মযজ্ঞ চলাকালীন প্রতি মুহুর্ত ডিপিইও স্যার খোঁজ খবর নিয়েছেন। যেদিন যেই উপজেলায় গিয়েছি সেদিন উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিয়েও খবরাখবর নিয়েছেন। আমাদের আপ্যায়ন ও সম্মানে যেন ত্রুটি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। এম্বাসাডরদের সম্মানের বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমাদের মনে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বুড়িচং মডেল সপ্রাবি এর কাছে। আলহামদুলিল্লাহ আজ পর্যন্ত শিক্ষক বাতায়নে আমাদের প্রাথমিকে পরিবার প্রায় ৫ হাজার সদস্যের। আমাদের এই কর্মযজ্ঞের সাথে আমরা মাধ্যমিকের এম্বাসাডরদেরও প্রতি ভেন্যুতে পরিচয় করে দিয়েছি। আমরা মাধ্যমিকের এম্বাসাডরদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি উনারা যথাযথ সম্মান ও সহযোগিতা করেছেন। পরিশেষে যাঁর কথা উল্লেখ না করলে নিজেদের প্রতি অবিচার হবে। তিনি হলেন জাতীয় শ্রেষ্ঠ জেলা শিক্ষা অফিসার, আমাদের গোড়ার দিকের মূল অনুপ্রেরণা দানকারী জনাব মোহাম্মাদ আব্দুল মজিদ স্যার, জেলা শিক্ষা অফিসার, কুমিল্লা