Loading..

প্রকাশনা

৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ ১১:১২ অপরাহ্ণ

অনলাইন টিচারদের নিয়ে শিক্ষা সফর-২০২০

v  দিনটি ছিল ২৬ নভেম্বর। হবিগঞ্জ অনলাইন টিচারদের নিয়ে গিয়েছিলাম মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ। বীরশ্রেষ্ট সিপাহী শহীদ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ দেখতে। আমার ব্যস্ততা ছিল শিক্ষা সফরকে প্রাণবন্তে।ডি এস এল  আর ক্যামেরা ভাড়া করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি যে কই ছিল, জানিনা। ভাগ্যিস নিজ ছেলে দুটি সাথে থাকায় কিছু দুর্লভ মুহূর্তে  ক্লিক মেরেছিল।মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী কানাইলাল পাশি কি মনে করে আমার কাছে এসে বললেন,স্যার বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান সম্পর্কে আমার স্ব-রচিত কবিতাটি আবৃত্তি করার সুযোগ দিবেন? আমি উনার মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাস করলাম,আপনার পরিচয়? বললেন আমি মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী কানাইলাল পাশি। ১৯৭১ সনে আমি ১৫ বছরের কিশোর। আমি হামিদুর রহমানকে দেখছি। উনার চেহারার দিকে তাকিয়ে উনার কথাগুলির গভীরতা যে অনেক তা নিমিষেই বুঝে নিলাম। বললাম শুরু করেন, কবিতা আবৃত্তি শুরু করলেন। পুরো মাঠে তখন পিনপণ নিরবতা চলে আসলো। আমি উনাকে সার্ভিস দিলাম, মাইকটি উনার মুখের কাছে ধরে রাখছিলাম।এ ছবিটাই আমি খুঁজছিলাম। কিন্তু আমাদের ভাড়া করা ডি এস এল আর ক্যামেরাম্যান উঠাইছে কি না জানিনা। পেয়ে গেলাম আমার বড় ছেলে মাহবুব খান জুম্মার নিকট। থ্যংক্স বাবাএসব দূর্লভ মুহূর্তকে স্মরণিয় করে রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকুক।

        

v  আমাদের ভ্রমনকে আনন্দদানে যে দুজন গুনী শিক্ষকের কথা না বললে পুরো আনন্দ ভ্রমন ম্লান হয়ে যায়।

উনারা হচ্ছেন,শ্রীমংগলের এ্যাম্বাসেডর আল-আমীন স্বাধীন স্যার, ও কমলগঞ্জের এ্যাম্বাসেডর লক্ষী নারায়ন পাশী স্যার।

যখন জুম মিটিংগে সিদ্ধান্ত হল মাধবপুর লেক দেখতে যাব। আমি বাতায়ন ওপেন করে সেখানকার এ্যাম্বাসেডর কে খুঁজছিলাম।লক্ষী নারায়ন পাশী স্যার সহ আরো দুইজনের নাম পাইলাম। পাশী স্যারের নম্বর স্বাধীন স্যারের নিকট থেকে সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলাম। পাশী স্যার বললেন, স্যার, মাধবপুর লেকে আসবেন আর বীরশ্রেষ্ট শহীদ হামিদুর রহমানকে না দেখে যাবেন? বললাম আমি জানিনা, বিস্তারিত বলেন। উনার নিকট থেকে বিস্তারিত জেনে ভ্রমন সিডিউল সে রকমই করলাম। আর পাশি স্যার বললেন- "আমি পাশী-আপনাদের সাথে আছি"

ঠিকই উনার ও উনার সৈনিকদের পরম যত্নে আমাদের ট্যুর সফলতা পেলো।ধন্যবাদ পাশী স্যার।

তার পর আল-আমীন স্বাধীন স্যারের ক্ষীপ্রতার কথা বলি।

যখন শুরুতে এ্যাসেম্বলীর সময়ে ঘোষনা দিলাম,আপনাদের মধ্যে একাদশী কে কে হাত তোলেন। মোট ১১ জন একাদশী পাওয়া গেল। তাদের জন্য ফলমূল সংগ্রহ করা সময়ের ব্যপার ছিল। স্বাধীন স্যারকে ফোন দিলাম, আমরা ২০ মিনিটের ভিতরে আসছি। ১১ জন একাদশী আছেন। ফলমূল ব্যবস্থা করেন।উনি ব্যবস্থা করে শ্রীমংগল রাস্তায় দাঁড়িয়ে রইলেন। চলে গেলাম কমলগঞ্জ।কমলগঞ্জের মাধবপুর লেকে দুপুর ১টায় যখন সবাই ফটোসেসনে ব্যস্ত। ঠিক তখনই দুপুরের খাবারের ভেন্যুর দায়িত্বে থাকা স্যার বললেন,বিটি আর আই আমাদের কে তাদের মাঠ ও হলরুম ব্যবহার করতে দিবেনা। তাদের কি এক সমস্যা হয়ে গেছে।আমি মহা টেনশনে পড়ে গেলাম ১৬৩ জন লোককে আমি কোথায় বসিয়ে খাওয়াব। স্বাধীন স্যার কয়েক জায়গায় ফোন দিলেন। বললেন স্যার ব্যবস্থা হয়ে গেছে পানসী রেস্টুরেন্ট ই বসার ব্যবস্থা করছে। আর কাকিয়ার বাজার হাই স্কুল মাঠে একটি সিরিজ খেলা চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আপনাদের সুবিধার্থে সিরিজ খেলাটি একদিন পিছিয়ে আপনাদের সুজোগ করে দিচ্ছে।এবং স্কুল সভাপতি আঃ হাই সাহেব নিজে উপস্থিত থাকবেন, সাথে প্রঃ শি নুমান স্যার। ঠিকমতই সব কিছু করা সম্ভব হয়েছে স্বাধীন স্যারের কারণে। স্বাধীন স্যার আপনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছবিতে আমার দুই পাশে দুই স্যার পাশী ও স্বাধীন স্যার।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা a2i কে এ সেতু বন্ধন সৃষ্টিতে a2i এর শিক্ষক বাতায়ন।

মোঃ লোকমান খান-সহঃশিক্ষক, রুস্তমপুর ন’মৌজা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ ।


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি