Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:৪৩ অপরাহ্ণ

সবার বিকাশ পদ্ধতি একনয় তাই শিক্ষক হতে হলে আগে শিশুকে পড়তে হবে। তার পর রোগ বুঝে চিকিৎসা দিতে হবে।

শিক্ষক হতে হলে আগে শিশুকে পড়তে হবে। তার পর রোগ বুঝে চিকিৎসা দিতে হবে।


শিক্ষক ও ছাত্র একটি হলো গাছ অন্যটি হলো ফুল। আর বিদ্যা ধন হলো সেই বৃক্ষের ফল।ঝরে পড়া শিশু বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর একটি সাধারণ ঘটনা।প্রতিটি শিশু এক একটি প্রতিভা।সবাই যে শুধু পড়া অথবা লেখা শিখবে, আর এটাই যে শিশুর বিকাশের একমাত্র উপায় - এটা যারা মনে করেন তাদেরকে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানতে হবে। শিশুর বুদ্ধিমত্তা ৮ রকমের এই বিষয়টি সব শিক্ষকদের জানা আছে। কিন্তু বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষকদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগ না থাকায় ঝরে পড়া শিশুদের সৃষ্টি হচ্ছে।

২০১৭ সালে রিয়াদ হোসেন নামের এক ছাত্র ছিল আমার বিদ্যালয়ে।  সে নিয়মিত  বিদ্যালয়ে আসত না। পড়া ও লেখার ব্যাপারে একেবারে আগ্রহ ছিল না। কিন্তু সে ছিল খেলায় বেশ পটু। শুরু হয় রিয়াদের মতো এমন আরও তিনজন নিয়ে অফিসে আমার বিশেষ পাঠদান। সহজবোধ্য করে পড়া শেখানো সঙ্গে যুক্ত হয় দেখে দেখে লেখা। ২০১৯ সালে এই চারজনের ক্রীড়া নৈপূণ্যতা দেখে মুগ্ধ হয় পুরো উপজেলার শিক্ষকরা। ২০১৯ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা পর্যায়ে রানার্স হয় আমার বিদ্যালয়। যা বিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম অর্জন।  আর এই অর্জনের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল তারা ছিল আমার ২০১৭ সালের সেই ঝরে পড়া চার জন শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে তারা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল করে হাইস্কুলে গিয়ে ভর্তি হয়েছে। আজ একজন এসেছে আমাকে উপহার হিসেবে ফুলের তোড়া নিয়ে।আমরা এদেরকে ২০১৭ সালে ঝরে পড়ার তালিকায় নাম লিখেছিলাম?অথচ দুই বছর পর যে শিক্ষক তাদেরকে উৎসাহ দিয়েছিল তাকে ফুলের তোড়া উপহার দিতে কিন্তু তারা ভোলেনি।

শিক্ষক হিসেবে এই উপহার আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। কারণ এর পিছনে দুই বছরের সাধনা জড়িয়ে আছে।শিশুরা বিকশিত হবে অবশ্যই, তবে তাদের শিখনক্ষেত্র   ভিন্ন হবে।সেটা শিক্ষককে বের করতে হবে তার নিজ যোগ্যতা দিয়ে। তবে ই তিনি হতে পারবেন আর্দশ শিক্ষক।প্রতিদিন লাল রঙের একটি সূর্য পূর্ব আকাশে উদিত হওয়ার মাধ্যমে জনপদে জানান দেয় দিনের কার্য শুরু করার জন্য। প্রতিটি জীবন খাদ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে দিনের কাজ শুরু করে। এই একই অবস্থা চলে বনে ও লোকালয়ে সমানভাবে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। খাবারের জন্য মানুষ নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। এই কাজগুলোকে এককথায় পেশা বলা হয়। আমাদের সমাজে একশ্রেণির লোক আছে যারা শারীরিক কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে, এদেরকে শ্রমজীবী বলা হয়। যেমন:- জেলে,মাঝি,গাছি,কাঠুরিয়া, রিকশা চালক, ভ্যান চালক,বাস চালক ইত্যাদি।আবার কিছু মানুষ জীবন চালাতে বিভিন্ন কারখানায় কাজ করে এদের বলা হয় কারখানার শ্রমিক। যারা বিভিন্ন ধরনের গাড়ি চালায় তাদেরকে বলা হয় পরিবহন শ্রমিক। আমাদের সমাজে চারপাশের পরিবেশ যারা পরিস্কার করে,  বিভিন্ন অফিস, স্কুল, হাসপাতাল এ যারা পরিস্কার করার কাজে নিয়োজিত আছে তাদের বলা হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এই শ্রমজীবীরা বিভিন্নভাবে আমাদের উপকার করে আমাদের জীবন যাত্রাকে বিভিন্নভাবে সহজ করে দিয়েছে। তাই প্রতিটি শ্রমজীবী মানুষ ই সম্মানের পাত্র।শ্রমজীবী মানুষকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।