সহকারী শিক্ষক
১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০৮:৩২ অপরাহ্ণ
কুসুম ফুল-'Safflower.
কুসুম ফুল-'Safflower.
ফুটে কুসুম কলি হেমন্তের কুঞ্জবনে;
চঞ্চল হিয়া আজি দোলে সমীরণে !!
কুসুম অর্থ ফুল হলেও কুসুম এক আদি ফুলের নামও বটে।
কুসুম (ইংরেজি: Safflower) (বৈজ্ঞানিক নাম: Carthamus tinctorius. )
একটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ। ১ - ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কমলা, হলুদ রংএর ফুর
গুলি প্রায় ১ থেকে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। এটা অনেক সময় জাফরানের পরিবর্তে
ব্যবহার করা হয়। পৃথিবী বহুদেশে এটাকে জাফরান নামে বিক্রি করে ঠকানো হয়। রং করার
ক্ষমতার কারণে অনকে সময় অনেকে ধোকা খায়। দেখতে অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের মতো। এটি
ফসলের মাঠকে সুশোভিত করে রাখে।
কুসুসফুলের পাতার কিনারা করাতের মতো খাঁজ কাটা এবং এর কাণ্ড, পাতা বা
ফুলের কলিতে তীক্ষ্ণ ও ধারালো কাঁটা থাকে। গাছের ডগা থেকে সবুজ গোলাকার কলি বের
হয়। কলি থেকেই হলদে-লাল আভাযুক্ত ফুল ফোটে। চিকন শলার মতো অনেকগুলো পাপড়ি থাকে এ ফুলে।
কুসুমফুল সাধারণত ক্ষেতের চারদিকে লাগানো হয় মূল ফসলকে রক্ষা করার জন্য। কেননা এ
গাছের পাতা, ফুল বা ফল গাবাদিপশু খায় না। মিষ্টি গন্ধযুক্ত কুসুমফুল শুধু মানুষকেই
নয়; কীট-পতঙ্গকেও আকৃষ্ট করে। ইউনানি ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এর ব্যবহার বহুবিধ। বীজ
থেকে তেল পাওয়া যায়। এ তেল রান্না ও ঘুমের ঔষধ হিসাবে নিদ্রাকুসুম তেল নামে
চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কুসুম ফুলের বহু ঔষধি গুণ আছে।
উপকারিতা:
১. শরীরে খোসপাঁচড়া হলে কুসুম ফুলের বীজের তেল লাগালে ভালো হয়ে যায়।
২. বাতের ব্যথা হলে কুসুম তেল মালিশ করলে ব্যথা উপকার পাওয়া যায়।
৩. শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক
দিলে ব্যথা কমে যায়।
৪. কুসুম ফুল খেলে জন্ডিস ভালো হয়।
৫. ঠান্ডা লেগে যদি সর্দি হয় তাহলে কুসুম তেল বুকে মাখলে উপকার
পাওয়া যায়।
৬. শিশু জন্মের পর এর বীজের পাউডার একটা কাপড়ে নিয়ে গরম করে সেঁক
দিলে ব্যথা উপশম হয়। এই ফুল আবার জন্ডিসের জন্য বেশ উপকারী।
কুসুমগাছ দুই ধরনের। একটি বেশ বড় এবং উঁচু, অন্যটি খুবই ছোটও ঝোপালো
ধরনের। মূলত ছোট গাছ থেকেই রং পাওয়া যায়। এরা পরিত্যক্ত মাঠ কিংবা ঘাসবনে
আপনাআপনিই জন্মে। কাপড়ের রং হিসেবে কুসুম অনেক পুরোনো ও বিখ্যাত।