Loading..

খবর-দার

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০৮:০১ পূর্বাহ্ণ

সুরক্ষা এপসে যুক্ত হয়েছে শিক্ষক ক্যাটাগরি

করোনা টিকার নিবন্ধনে সুরক্ষা অ্যাপসে ‘শিক্ষক’ ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাশাপাশি শিক্ষক ক্যাটাগরিতেও নিবন্ধন করা যাচ্ছে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, গতকাল থেকে শিক্ষক ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে। তবে যাদের বয়স ৪০ এর কম তারা এখনও নিবন্ধন করতে পারছেন না। সব শিক্ষকদের টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা শ্রেণিকক্ষে যেতে প্রস্তুত। তবে তার আগে যদি করোনার টিকা দেয়া হয়, তবে সবাই সুরক্ষিত হয়ে ক্লাসে ফিরতে পারব।’ এজন্য তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেয়ার জন্য আহ্বান জানান।

প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সব শিক্ষকদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অফিসে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাদের এসব তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হলে সে যে বয়সী হউক করোনা নিবন্ধন করতে পারবেন।

শিক্ষকরা বলছেন, টিকাগ্রহণে শিক্ষকরাও অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন বলে এতদিন বিভিন্ন মন্ত্রীরা বলে আসছিলেন। তবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এ অগ্রাধিকারের কোনো সুযোগ ছিল না। এখন শিক্ষক ক্যাটাগরি যুক্ত হলেও সুরক্ষা লিংকে ঢুকে ৪০ বছরের কম বয়সী শিক্ষকরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদফতর থেকে সব শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করছে। এরপর এগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর পর তাদের তথ্য ইনপুট দেয়ার পর সব শিক্ষকদের নিবন্ধন উন্মুক্ত করা হবে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব আবাসিক হল খুলবে। তার আগে আবাসিক সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিকার দেয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকদের টিকার আওতায় আনা হবে। সেজন্য মাউশি কাজ করছে।

একাধিক অনুষ্ঠানে একই কথা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সব প্রাথমিক শিক্ষক, কর্মর্কতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় নিয়ে আসা