সহকারী শিক্ষক
৩১ মার্চ, ২০২১ ১০:০৮ অপরাহ্ণ
'নারীশিক্ষা' । নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, পলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনিরামপুর, যশোর।
নারীশিক্ষা
নারীশিক্ষা কথা বলতে গেলে মনেপড়ে
বেগম রোকেয়ার কথা। ১৯১১ সালে সাখাওযাত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায়
সর্বত্র সকালবেলা সারিবদ্ধ ভাবে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। মেয়েদের শিক্ষা দ্রুত গতিতে
উন্নতিলাভ করছে বলেই আমার ধারণা যে পরিমানে আমরা চেয়েছিলাম, সে পরিমানে হয়তো হয়নি,
কিন্তু এগচ্ছে-এবিষয় কোন সন্দেহ নেই। কাজেই দেখা যাচ্ছে নারীশিক্ষা যথেষ্ট উন্নতিলাভ
করছে এবং সমাজের ও দেশের বিভিন্ন স্তরে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছে। মেয়েরা
যদি শিক্ষা লাভ করে তবে পারিবারিক জীবন ইত্যাদি সবই উন্নত হবে।
এটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে আরো একটি কথা বলতে হবে। বিভিন্ন বড় বড় শহরে,
শিক্ষিত মেয়েরা অনেক উন্নতি করেছে। সেই উন্নতি তা নয় । এরুপ তথাকথিত উন্নতির বিশেষ
দিক হলো-নিজের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সন্বন্ধে অজ্ঞান থাকা । সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া কিন্তু
মায়েদেরই কাজ, আর সেটি তাঁদেরই করতে হবে। আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য অনেক স্কুল রয়েছে
, যেখানে বেশ বড় সংখ্যায় মেয়েরা পড়ে। বিশেষ করে এই বাংলাদেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস, ভূগোল
ঠিক ঠিক জানতে পারবে। মেয়েদের তো শিক্ষা হচ্ছেই, এর সঙ্গে কী তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি,
ঐতিহ্য, ইতিহাস-এইসব সন্বন্ধে ঠিক ঠিক জানতে পারে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
আমেরিকা বা অন্যান্য দেশে অনেক বাংলাদেশী আছেন, তাঁরাও বেশ শিক্ষিত-পেশায়
ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,অধ্যাপক ইত্যাদি সেখানে তাঁদের কর্মস্থালে তাঁরা উন্নতিও করেছেন যথেষ্টে।
কিন্তু নিজের দেশ সন্বন্ধে বিশেষ কিছু জানেন না। ওখানকার লোক কিছু জিজ্ঞেস করলে মুশকিলে
পড়ে যাবেন। কথায় বই-টই পাওয়া যায়, সেসব খুজতে আরম্ভ করে দেবেন। সেজন্য নিজেদের তৈরি
করতে হবে।
আর-একদিকে, শিক্ষাবিস্তার হওয়া দরকার গ্রামাঞ্চলে। শিক্ষা নেই বলে অনেক
ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, স্বামী তার স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করে। যদি মেয়েরা নিজেরা কিছু
রোজগার করতে পারে, তাহলে এটা হবেনা। কিন্তু রোজগার করতে গেলে শিক্ষা দরকার। কাজেই যেকোন
দিক থেকেই দেখতে গেলে নারীশিক্ষার ওপর যথেষ্ট
গুরুত্ব দেওয়া দরকার এই দেশে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে , কিন্তু আরো দরকার। এগুলিকে স কলে মনে রাখবেন। এখানে যাঁরা শিক্ষিকা
আছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই এসন্বন্ধে জানেন।