Loading..

প্রকাশনা

০৭ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:২৯ অপরাহ্ণ

কবি মধুসূদন দত্ত । নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, পলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনিরামপুর, যশোর।

                                      কবি মধুসূধন দত্ত  

 মধুসূধন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্ঠাব্দের ২৫শে জানুয়ারী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্কুলজীবন শেষে তিনি কলকাতার হিন্দু কলেজে ভর্তি হন।                

বাংলা সাহিত্যের পাঠক এবং অনুরাগী ব্যাক্তিমাত্রই জানেন যে, পাশ্চাত্য শিক্ষার উদারনৈতিক ও যুক্তিবাদী চিন্তার আলোয় আলোকিত বাংলা নবজাগরণের অন্যতম উজ্জল নক্ষত্র মধুসূদন দত্ত। তাঁর স্বপ্নের দেশ বিলেতে যাওয়া সহজসাধ্য হবে এবং তাঁর  ইংরেজি কাব্য ইংল্যান্ডের বিদগ্ধ সমাজে সমাদৃত হবে-এই স্বপ্নে বিভোর হয়ে তিনি হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্ম গ্রহণের ফল হয় এই যে, তাঁকে হিন্দু কলেজ ছাড়তে হয়; কারণ হিন্দু কলেজ ছিল সম্পুর্ণভাবে হিন্দু ছাত্রদের জন্য সংরক্ষিত। হিন্দু কলেজ ছেড়ে তিনি ভর্তি হন কলকাতার বিশপস কলেজে। এই কলেজে থাকাকালীন তিনি আরো বেশি ঘনিষ্ঠ হন খ্রিস্টীয় জগতের সঙ্গে এবং তারই সূত্র ধরে গ্রিক ও ল্যাটিন  সাহিত্যের সঙ্গে। আখেরে লাভ হয় বাংলা সাহিত্যের। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক সুকুমার সেন মন্তব্য করেছেন; ”খ্রিস্টান হইলেন কিন্তু বিলাত যাওয়া ঘটিল না- অদৃষ্টের এই পরিহাস তাঁহার  ব্যাক্তিগত জীবনের পক্ষে যতই মর্মান্তিক হোক, তাঁহার সাহিত্যজীবনে কল্যাণের হেতু হইয়াছিল। খ্রিস্টান হইয়াছিলেন বলিয়া মধুসূদন প্রথমে বিশপস কলেজের ছাত্র হিসাবে, পরে মাদ্রাজে স্কুল শিক্ষকরুপে গ্রিক, ল্যাটিন, সংস্কৃত প্রভৃতি ক্লাসিক্যাল ভাষা ও সাহিত্য লাভ করিয়া পড়িবার সুযোগ যদি না পাইতেন তবে ‘শর্মিষ্ঠা’, ‘পদ্মাবতী’, কৃষ্ণকুমারী’, নাটকের ও ‘তিলোত্তমাসম্ভাব’, ‘মেঘনাদবধ’, ‘বীরাঙ্গানা’, কাব্যের কবিকে আমরা বোধ করি পাইতাম না,”

১৮৭৩ খ্রিষ্ঠাব্দের ২৯শে জুন কবি পরলোকগমন করেন।           

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি