Loading..

প্রকাশনা

১১ এপ্রিল, ২০২১ ০২:৫১ অপরাহ্ণ

কোন একদিন ঘুরে আসুন শুকতারা থেকে যেখানে হয়েছে প্রকৃতি আর কৃত্রিমতার মিতালী


সিলেটের খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান থেকে ফিরছিলাম। হঠাৎ সিএনজি ড্রাইভার বললেন, “এখানে একটা রিসোর্ট আছে, দেখতে পারেন।”  আমার মাথাতেও আসেনি এমন একটি অরণ্য ঘেরা জায়গায় রিসোর্ট হতে পারে। কারণ চারদিকে কেবল গাছ ছাড়া আমার চোখে আর কিছু পড়ছিল না। আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে ড্রাইভারকে গাড়ি ঘোরাতে বললাম।

 

প্রধান গেইট দিয়ে যখন শুকতারা রিসোর্টে ঢুকছি, তখন মনে হচ্ছিল সবুজ গাছগুলো যেন আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। রিসোর্ট বলতে আমরা বুঝি কোনো একটা জায়গাকে ‘পলিশ’ করে মানুষের থাকার উপযোগী করা। কিন্তু শুকতারা দেখে বুঝতে পারলাম -এখানে কোনো গাছ কাটা হয়নি বা পাহাড়কে কেটে সমান করা হয়নি। বরং ওই পাহাড়কে ব্যবহার করেই দর্শনার্থিদের জন্য বানানো হয়েছে রিসোর্টটি।

 

 

যাদের পাহাড় বাইতে সমস্যা তারা সহজেই টয় ট্রেন ব্যবহার করে উপরে উঠতে পারবেন। এক পাহাড়ে উঠলে অফিস, রেস্টুরেন্ট, খেলার জায়গা। আর এক পাহাড়ে উঠলেই থাকার জায়গা। আহা, প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে এমন রিসোর্ট যিনি করেছেন তিনি নিশ্চই ভীষণ পরিবেশবান্ধব হবেন!

 

 

তিনি যেমনই হোক তার আর্কিটেকচার পরিকল্পনা কিন্তু সাংঘাতিক মনকাড়া। লাইব্রেরিতে পা রেখেই মনে হয়েছে,  যদি আজ সারাদিন শুয়ে-বসে পড়তে পারতাম!

 

 

 

 

আবার রেস্টুরেন্টে বসে ভাবছিলাম- আহ! কফির পর একটু সাদা ভাত হলে মন্দ হয় না। আর বিলিয়ার্ড খেলতে খেলতে হারিয়ে গিয়েছিলাম কিশোর বেলায়।  শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল! শহরের এতো কাছে এমন প্রাকৃতিক শোভা রয়েছে তা সত্যিই ভাবা যায় না।

 

 

 

আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিজেই ঘুরে আসুন, সিলেট -জাফলং মহাসড়কে ১৪ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এই প্রকৃতি নিবাসে।

 

শুকতারা রিসোর্টের ছবিগুলো নিজেই তুলেছি। আমার ছবি কিন্তু আমি তুলিনি। আমি যে গিয়েছিলাম এমন অরণ্যঘেরা একটি রিসোর্টে তারই প্রমাণ বহন করছে আমার ছবি।

যেভাবে যাবেনঃ
সড়ক, রেল ও আকাশ পথে ঢাকা থেকে সরাসরি সিলেটে যাওয়া যায়। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকেও যেতে পারবেন। ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত, দুপুর ২টায় জয়ন্তিকা এবং বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১০টায় উপবন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া প্রথম শ্রেণী চেয়ার ২৭০ টাকা, শোভন চেয়ার ১৮০ টাকা। এছাড়া ঢাকার ফকিরাপুল, কমলাপুর ও সায়দাবাদ থেকে গ্রীনলাইন, সৌদিয়া, এস আলমসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাস যায় সিলেটে। এসি বাসের ভাড়া ৮০০-১০০০ টাকা এবং নন-এসি বাস ভাড়া নিবে ৩০০-৫০০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টায় উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেটে যায়। প্রথম শ্রেণী ৩২০ টাকা এবং শোভন চেয়ার ২১০ টাকা ভাড়া। এছাড়া ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমান, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ও রিজেন্ট এয়ারের বিমান নিয়মিত উড়াল দেয় সিলেটের আকাশে। 

সিলেট শহর থেকে সিএনজি চালিত বেবি ট্যাক্সি বা অটো রিকশায় শুকতারা আসতে ভাড়া লাগবে ১৫০-২০০ টাকা।

ভাড়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ
শুকতারায় বড় স্যুইট ৬,৫০০ টাকা, সেমি স্যুইট ৫৫০০ টাকা এবং ফ্যামিলি স্যুইট ৫০০০ টাকা। বিভিন্ন দিবসে দশ শতাংশ ছাড়ও দেয়া হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন ০৮২১-২৮৭০৯৯৪-৫ ও ০১৭৬৪৫৪৩৫৩৫ নম্বরে। অথবা ভিজিট করুন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.shuktararesort.com

পুরো প্রতিবেদনটি -প্রিয় ডট কম ও বিডি নিউস ২৪ ডট কম ব্লগ থেকে নেয়া


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি