হাইটেক পার্ক – কি, কাকে বলে? হাইটেক পার্ক এর কাজ

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) ২২ নভেম্বর,২০২০ ২০৬২ বার দেখা হয়েছে লাইক কমেন্ট ৫.০০ ()

হাইটেক পার্ক – কি, কাকে বলে ?

বাংলাদেশে গত এক দশকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে৷ মোবাইল ফোন এবং তার পরে ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ সরাসরি তথ্য প্রযুক্তি সাথে জড়িত।   কিন্তু এত বিশাল সংখ্যক মানুষ এই প্রযুক্তির আওতায় এলেও  এই খাতে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি৷  এছাড়া বাণিজ্যিকভাবেও নিজস্ব প্রযুক্তি বাজারজাতকরণের তেমন সুযোগ হয়ে ওঠেনি৷ আধুনিক বিশ্বে অনেক দেশই তাদের অর্থনীতিকে প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তুলেছে । বাংলাদেশেও এই উদ্দেশ্যে  বেশ কয়েকটি  হাইটেক পার্ক স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। এখন প্রশ্ন হলো  হাইটেক পার্ক কি, কাকে বলে, পার্কগুলো থেকে আমরা কি কি সেবা পেতে পারি ?

হাইটেক পার্ক কি বা কাকে বলে ?

হাইটেক পার্ক কি এটি এক কথা বলা সম্ভব নয় । সংক্ষিপ্তভাবে যদি বলা হয় তবে বলা যেতে পারে  তথ্য প্রযুক্তি তথা আইটি সংক্রান্ত  সকল ধরনের কাজ সম্পাদন করা,  আইটিকে  ব্যবসা  হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, আইটি সেক্টরে সকল সুযোগ-সুবিধা তৈরী, তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সকল আমদানী, রপ্তানীর সুবিধা সম্বলিত যে পার্ক  গড়ে তুলা হয়  তাকেই হাইটেক পার্ক বলে।

হাইটেক পার্ক এর কাজ  

যেহেতু হাইটেক পার্ক মূলত তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর একটি  বিশেষ স্থান তাই  দেশ বিদেশের নাম করা বড় বড় তথ্য প্রযক্তি নির্ভর  ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান,  সফটওয়্যার কোম্পানীগুলো এই পার্কে কোম্পানী খুলে তাদের কাজ করতে পারবে। প্রযুক্তিনির্ভর এসব হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগে সৃষ্টি করবে।

আমাদের দেশে আইটি  ইন্ডাট্রিজ স্থাপন করলে দেশের কর্মসংস্থান বেড়ে যাবে। অপর দিকে হাইটেক পার্কগুলো দেশের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্বমানের কোম্পানীতে কাজ করার মত উপযোগী করে তুলবে। এধরনের পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে নতুন নতুন উদ্যোগতাও সৃষ্টি হবে। অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবা ও হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ  হবে।এসব কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে এ দেশের তরুণরা দ্রুত আধুনিক নানা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে, নানা কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে নতুন কিছু শিখতে পারবে ,রিসার্চ করতে পারবে। আবার কেউ কেউ নিজের কোম্পানি খোলার সুযোগ পাবে ।

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ইপিজেডগুলোতে  যেমন বিদেশী কোম্পানীগুলো কোম্পানী খুলে  উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করে যার ফলে  আমাদের দেশীয় বেকার শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে ও বেকারত্ব দূর হচ্ছে। ঠিক তেমনি হাইটেক পার্ক মূলত ইপিজেড এর মত একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ইন্ডাস্ট্রিস এরিয়াতে রুপান্তরিত হবে।

এখানেই তৈরি হবে বিশ্বমানের পণ্য। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। কমবে মেধা পাচার। এই স্বপ্ন নিয়েই হাইটেক পার্কে ধারনার সৃষ্টি।


মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য
রেহানা আক্তার ঝর্ণা
২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০৩:৪২ অপরাহ্ণ

লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ শুভকামনা। আমার এ পাক্ষিকের কনটেন্ট দেখে আপনার মূল্যবান মতামত ও রেটিং প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।


গোলাম ফারুক
২৩ নভেম্বর, ২০২০ ১২:১৯ অপরাহ্ণ

বাতায়নের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।চমৎকার নির্মানের জন্য লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ শুভকামনা ।আমার কন্টেন্ট দেখে আপনার মূল্যবান মতামত ও রেটিং প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। বাতায়ন লিঙ্ক https://www.teachers.gov.bd/profile/glm.farukict


অচিন্ত্য কুমার মন্ডল
২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

শুভকামনা রইলো এবং সেই সাথে পূর্ণ রেটিং । আপনার তৈরি কন্টেন্ট আমার দৃষ্টিতে সেরার তালিকা ভুক্ত। সে জন্য আপনাকে একটু সহযোগিতা করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সেই সাথে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমার এ পাক্ষিকের কন্টেন্ট ও ব্লগ দেখার ও রেটিং সহ মতামত প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ https://www.teachers.gov.bd/content/details/777226 https://www.teachers.gov.bd/blog-details/583774


আব্দুল্লাহ আত তারিক
২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

শুভ সকাল, আপনার দিনটি শুভ হোক । আপনার অনিন্দ্যসুন্দর নির্মাণের জন্য অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইল । আমার বাতায়ন নীড়ে আমন্ত্রণ রইল । এই পাক্ষিককে আমার নির্মিত অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বইয়ের কনটেন্ট "মংড়ুর পথে" ভ্রমণকাহিনী দেখে আপনার মতামতের প্রত্যাশায় রইলাম। ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।