শিক্ষা ব্যবস্থার বিবর্তন, চাই সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

বাংলাদেশের নাগরিকদের গড় বয়স ২৫ বছর। অর্থাৎ এটি তরুণ জমসমষ্টির দেশ। এর আরেকটি মানে—আমাদের দেশের এই তরুণ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী আগামী দুই দশক ধরে কর্মক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারবে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষণা অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী যারা এখন প্রাইমারি শিক্ষাক্রমে প্রবেশ করছে, তাদের যখন কর্মক্ষেত্রে ঢোকার বয়স হবে, সে সময়কার কাজ বা বৃত্তি অথবা পেশা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের হবে, যার সম্বন্ধে এখন আমাদের কোন ধারণাই নেই। তার মানে হলো, এই শিক্ষার্থীদের যদি সেসব কাজের জন্য আমরা তৈরি করতে না পারি, তাহলে জনগোষ্ঠীর এই তারুণ্য বিফলে যাবে। কিন্তু যে কাজ বা পেশা এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি, তার প্রশিক্ষণ আমরা কীভাবে দেব!
আমাদের তরুণ সমাজকে কাজে লাগিয়ে আমরা যদি সত্যিই এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই, তাহলে আমাদের অবিলম্বে মানবসম্পদের ওপর বিনিয়োগ করতে হবে। এডুটেক বা ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োগ করে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের অজানা কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে উদ্ভাবনীমূলক ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম চালু করতে হবে। গতানুগতিক টেক্সট বইভিত্তিক শিক্ষায় একজন শিশুর বা তরুণের নিজস্ব মেধার বিকাশ ঘটে না। মুখস্থবিদ্যার বদলে নতুন কিছু তৈরিকে, অথবা নতুন চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করতে হবে। যার যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে, তাকে সে বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং প্রয়োগ করে যে শিক্ষার্থীর যে বিষয়ে ঝোঁক বা প্রবণতা রয়েছে, তাকে সে বিষয়ে সুদক্ষ করে তুলতে পারলেই আমরা একটি দক্ষ জাতি তৈরিতে সক্ষম হব।।

সাম্প্রতিক মন্তব্য
















শামছুন নাহার
লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। আমার আপলোডকৃত ৩0 তম কনটেন্টটি দেখে লাইক,গঠন মূলক মতামত ও রেটিং প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।































মতামত দিন