বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসাবে শনাক্ত করেছে: সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়োমাস, বায়ো ফুয়েল, জিওথার্মাল, নদীর স্রোত, সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদি ।

শ্যামল চন্দ্র সাহা ০৮ সেপ্টেম্বর,২০২১ ১৩৭ বার দেখা হয়েছে লাইক ১৩ কমেন্ট ৪.৭৫ ()

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তি

জীবাশ্ম জ্বালানির সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা শক্তির মূল পার্থক্য হল শক্তির উৎসটির নবায়নযোগ্যতা, তথা যে উৎসটি ব্যবহার করা হবে সেটি যাতে সহজে নিঃশেষ না হয়ে যায়। জীবাশ্ম জ্বালানির বিভিন্ন উৎস যেমন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, খনিজ তেল ইত্যাদির ব্যবহারের সাথে সাথে সহজে নিঃশেষ হয়ে যায়। অপরদিকে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস যেমন সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি ব্যবহারের সাথে সাথে সহজে নিঃশেষ হয়ে যায় না। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি বা জ্বালানির ব্যবহার ও এর উন্নয়ন নিশ্চিত জন্য করতে ২০০৮ সালের ১৮ই ডিসেম্বর থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি কার্যকর হয়। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‍- স্রেডা এক্ট-২০১২ প্রনয়ন করে বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস হিসাবেশনাক্ত করেছে:

সৌরশক্তি,
বায়ু শক্তি,
জলবিদ্যুৎ,
বায়োমাস,
বায়ো ফুয়েল,
জিওথার্মাল,
নদীর স্রোত,
সমুদ্রের ঢেউ ইত্যাদি ।

এই কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত জ্বালানির ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

ইতিহাস

বাংলাদেশে প্রথম বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার শুরু হয় বিংশ শতকের শুরু দিক থেকে। তৎকালীন ঢাকার নবাব অর্থায়নে ঢাকার রাস্তায় বিদ্যুতের বাতি জ্বলতে শুরু করে ১৯০১ সাল থেকে।বিদ্যুৎ ব্যবহারের ইতিহাস পুরানো হলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতিমালা কার্যকর করা হয় বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরুর ১০০ বছর পরে একবিংশ শতকে। যদিও বা বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উৎপাদনক্ষম নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয় বিংশ শতকের ষাঠের দশকে। যা পূর্ণ কর্মক্ষমতা অর্জন করে বিংশ শতকের নব্বইয়ের দশকে।

বিংশ শতকের শেষের দিক থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর অন্যান্য উৎস যেমন সৌরশক্তি বাংলাদেশে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। বেসরকারী উদ্দ্যোগে ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ শক্তি নামে একটি প্রতিষ্ঠান নবায়নযোগ্য জ্বালানির সুবিধা দিতে কাজ শুরু করে। তবে সৌরশক্তির অধিকাংশ ব্যবহারই শুরু হয় ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহার, যা জাতীয় গ্রীডের বাইরে।

নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র

জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রধানত পানির মধ্যে জমা হওয়া বিভব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জেনারেটরের সাথে যুক্ত থাকা টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। কোন বস্তুর মধ্যে জমা হওয়া বিভব শক্তির পরিমাণ ভূপৃষ্ঠ থেকে বস্তুর উচ্চতার উপর নির্ভর করে। বস্তুর উচ্চতা যত বেশি, বিভব শক্তির পরিমাণ তত বেশি। জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে সাধারণ পানি আটকানোর বাঁধ প্রধান করা হয় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি করতে। পরবর্তীতে উঁচু স্থান থেকে ছেড়ে দেয়ায় পানির মধ্যে থাকা বিভব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একমাত্র কেন্দ্রটি হল কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র


চট্রগ্রাম বিভাগের  রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় কাপ্তাই বাঁধ তৈরি করা হয়। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে আমেরিকার অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়। এ বাঁধের পাশে ১৬টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দীর্ঘ একটি পানি নির্গমন পথ বা স্প্রিলওয়ে রাখা হয়েছে। এ স্প্রিলওয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গমন করতে পারে। কাপ্তাই বাঁধের কারণে ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় যা ঐ এলাকার মোট কৃষি জমির ৪০ শতাংশ, এর ফলে সৃষ্টি হয় কাপ্তাই হ্রদ। ১৯৬২ সালে এটির নির্মাণ সমাপ্ত হওয়ার পর এতে দুটি ৪০ মেগাওয়াটের জেনারেটর স্থাপন করা হয়। ১৯৬৯ সালের ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটের কাজ শুরু হয়। ৩ নম্বর ইউনিটের কাজ ১৯৮২ সালে শেষ হয়। ৪র্থ ও ৫ম ইউনিটের কাজ শেষ হয় ১৯৮৮ সালে। বর্তমানে মোট পাঁচটি ইউনিট চালু আছে যার মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।পানির প্রবাহ ছাড়া আর কোনো জ্বালানি না লাগায় কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রতি ইউনিটে খরচ হয় ২৫ পয়সারও কম। কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেটিকে ২০১৫ সালের জাতীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়, যা ছিল সর্বোচ্চ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বীকৃতি

বায়ুশক্তি
বায়ুর গতিশক্তি কে কাজে লাগিয়ে জেনারেটরের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বায়ু যখন টারবাইনের ব্লেডের মধ্যে দিয়ে যায় তখন বায়ুর গতিশক্তি ঐ ব্লেডগুলোকে ঘুরায়। আর ঐ ব্লেডগুলোর সাথে রোটর সংযুক্ত থাকে যা ব্লেডগুলোর ঘূর্ণনের ফলে সক্রিয় হয়। এই রোটর জেনারেটরের সাথে সংযুক্ত থাকে যার ঘূর্ণনের ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

মুহুরী প্রজেক্ট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ফেনীর সমুদ্রউপকূলীয় সোনাগাজীতে অবস্থিত মুহুরী প্রজেক্টে। মুহুরী প্রজেক্ট হল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। ফেনীর মুহুরী নদীর তীর ঘেঁষে খোয়াজের লামছি মৌজায় ছয় একর জমির উপর স্থাপিত এটি। মুহুরী প্রজেক্ট বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থিত ৪টি ২২৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন টারবাইন দিয়ে প্রায় এক মেগাওয়াট ‍‍(০.৯) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

কুতুবদিয়া বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

২০১৭ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায় চালু হয় ১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বায়ু চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার ৫০টি টারবাইন দ্বারা ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত নয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আশে পাশের প্রায় ৫৫০ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণে আলী আকবরের ডেল এলাকায় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অবস্থিত। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে।

সৌর শক্তি

বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশে এখন ছয়টি প্রতিষ্ঠান সোলার প্যানেল তৈরি করছে। তাই এ প্রযুক্তি এখন সহজলভ্য। তাই গ্রামের অনেকে নিজেদের চাহিদা মেটাতে সৌর বিদ্যুত্ ব্যবহার করে।বাংলাদেশের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর অধিকাংশ জাতীয় গ্রীডের সাথে সংযুক্ত নয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত উৎপাদনে যাওয়া ২১১.৪৬ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুতের মধ্যে ২০১.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতই জাতীয় গ্রীডের বাইরে। এর মধ্যে রয়েছে ৪৫ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেম যার পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৮৬ মেগাওয়াট। আরো রয়েছে প্রায় ৫০০টি সোলার পাম্প যাতে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬.৪৩ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ।বাংলাদেশে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৫৫০টি সোলার ইরিগেশন পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিঃ।

২০১৭ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে রূপান্তরিত বিদ্যুৎ এর পরিমাণ ছকে উল্লেখিত।

মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য
শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২০ অপরাহ্ণ

পূর্ণ রেটিং সহ লাইক ও কমেন্টস করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি।


ডিটু রায়
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:৪১ পূর্বাহ্ণ

লাইক ও পূর্ণ রেটিং সহ শুভকামনা রইল। আমার এ পাক্ষিকে আপলোডকৃত কনটেন্টটি দেখে লাইক,গঠন মূলক মতামত ও পূর্ণ রেটিং প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।  কনটেন্ট লিংকঃ https://www.teachers.gov.bd/content/details/1114146 বাতায়ন আইডিঃ https://www.teachers.gov.bd/profile/ditu.ray


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২১ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।


মিতালী সরকার
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:১২ পূর্বাহ্ণ

শ্রদ্ধেয় বাতায়ন প্রেমী । কন্টেন্ট আপলোড করে বাতায়নকে সমৃদ্ধশীল করায় আপনাকে অভিনন্দন । আমার চলতি পাক্ষিকের কন্টেন্ট দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রত্যাশা করছি।


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২১ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।


সন্তোষ কুমার বর্মা
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:১৮ অপরাহ্ণ

লাইক ও পুর্ণরেটিং সহ আপনার জন্য শুভ কামনা। আমার আপলোডকৃত কনটেন্ট দেখে আপনার মুল্যবান মতামত, লাইক ও রেটিং প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২১ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।


লুৎফর রহমান
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:১৬ অপরাহ্ণ

Best wishes with full ratings. Sir/Mam. Please give your like, comments and ratings to watch my all contents PowerPoint, blog, image, video and publication of this fortnight. Link: PowerPoint: https://www.teachers.gov.bd/content/details/1114759 Blog: https://www.teachers.gov.bd/blog-details/620624 Video: https://www.teachers.gov.bd/content/details/1110246 Video 2: https://www.teachers.gov.bd/content/details/1099955 Publication: https://www.teachers.gov.bd/content/details/1114058 Batayon ID: https://www.teachers.gov.bd/profile/Lutfor%20Rahman


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২১ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।


আবু নাছির মোঃ নুরুল্লা
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৭:৪৭ অপরাহ্ণ

লাইক ও পুর্ণরেটিং সহ আপনার জন্য শুভ কামনা ও অভিনন্দন। আমার আপলোডকৃত কনটেন্ট দেখে আপনার মুল্যবান মতামত, লাইক ও রেটিং প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২২ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।


মোছাঃ নাইচ আকতার
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৪:৪৭ অপরাহ্ণ

লাইক, পূর্ণ রেটিং সহ আপনার জন্য রইলো শুভকামনা। আমার আপলোডকৃত কন্টেন্ট ও ব্লগ দেখে লাইক,পূর্ণ রেটিং ও আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।


শ্যামল চন্দ্র সাহা
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:২২ অপরাহ্ণ

শুভ মতামতের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভ কামনা করছি।