১৮ মাসে যেসব বালিকার বাল্যবিবাহ হলো তারা সবাই বেঁচে আছে? প্রতিটা ক্লাসে দেখেন তো হিসেব করে শতকরা কতজন কিশোর স্কুল ছেড়ে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়েছে! এটা কি এক ধরণের হত্যা নয়? এর নাম দুরন্ত শৈশবকে হত্যা করা, কতোগুলো সম্ভাবনাকে খুন করা!
এই ১৮ মাসে যারা অনলাইন, পাবজিসহ ভয়ঙ্কর সব অনুষঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে তাদের দায় কে নেবে? ৩০ জন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরা কি স্কুল বন্ধ অবস্থায় বাড়ি থেকে কখনো বের হয় নি? বাজারে যায় নি? বেড়াতে যায় নি কি কেউ ? করোনা কি নির্মূল করা গেছে? বাংলাদেশে মোট শিক্ষার্থী কত কোটি? ৩০ জন সেখানে কত পারসেন্ট? আমার তো মনে হয় গত ১৮ মাসে সারাদেশে ৩০০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যাই করেছে! করোনায় আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
এগারো জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ মারা গেছে কতজন জানেন? না, না আপনাকে মরতে বলি নি, আক্রান্ত হলেই মারাও যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থাতেও কোনো শিক্ষক কি মারা যান নি?
করোনা নিয়েই আমাদের টিকে থাকতে হবে। যেমন আছে ক্যান্সার, যক্ষ্মা প্রভৃতি মহামারী তেমনি করোনাও এদেশে হয়তো থাকবে। এটা মাথায় নিয়েই এগুতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক সকলে শতভাগ। প্রয়োজনে আনসার, পুলিশ নিয়োজিত করা হোক। স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নিলে প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা ছড়াবে না। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই করোনা সচেতনতা সবচেয়ে বেশি যা হাসপাতালেও নেই। বাংলাদেশের সকল সেক্টরের চেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বেশি পরিচ্ছন্ন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী যারা আক্রান্ত হলেন তারা বাড়িতেই বা বাজরে কিংবা অন্য কোথাও আক্রান্ত হতে পারেন। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আর সব খোলা রাখলে করোনা কোনোদিনও নিয়ন্ত্রণ তো সম্ভব নয়ই বরং জাতি হিসেবে আমরা অথর্বে পরিণত হব দ্রুত।
সুধীজনদের বলি, আর বিদ্যালয় বন্ধের গীত গায়েন না এবং সে গীতে কোরাস তুলেন না। আসুন আমরা সকলে সমাধান ও নিয়ন্ত্রণের পথ খুঁজি।
মতামত দিন