সংগৃহীত পোস্ট ও ছবি
কিডনি ভালো রাখতে কী করবেন, কী করবেন না
কিডনি মানুষের শরীরের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করা, মানবদেহের রক্ত পরিষ্কার করা, বিভিন্ন ধরনের দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে শরীর থেকে বের করা ও অন্যান্য কাজে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি কিডনীর ওজন সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম। মেডিক্যাল সাইন্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড়শ লিটার রক্ত এই যন্ত্র প্রতিদিন ফিল্টার করে। সুস্থ থাকার জন্য কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১। পরিমিত পানি পান করবেন
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান অ্যান্ড নিউট্রিশানিস্ট জান্নাতুন নূর নাঈমা জানান, একজন সুস্থ, স্বাভাবিক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত ৮ থেকে ৯ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি খাওয়া আবার শরীরের জন্য খারাপ।
২। লবণ কম খাবেন
মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। খাবারে অতিরিক্ত লবণ দেওয়া বা খাবারের সাথে আলাদা লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
৩। অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন পরিহার করুন
খাবার তালিকায় অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে এবং কিডনির দুর্বল কোষগুলোর ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গরুর মাংস বা এই ধরনের প্রাণিজ আমিষ খেলে বা চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই প্রাণিজ প্রোটিন এড়িয়ে খাবার তালিকায় রাখতে পারেন ডালজাতীয় প্রোটিন ও মাছ।
৪। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন। রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনিতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত রোগীদের কিডনির কার্যকারিতা ও প্রস্রাবে মাইক্রো অ্যালবুমিন প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করানো উচিত। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন অথবা পরিবারের কারোর কিডনি সমস্যা থাকলে কিডনি রোগ হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।
৭। ওষুধ সেবনে সতর্ক হোন
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য হুমকিস্বরূপ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে নিয়ম না জেনে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৮. মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি খাবেন না
মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন নেই। তাই ৫০০ মিলিগ্রাম বা এর কম ভিটামিন সি গ্রহণ করুন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৯। কোমল পানীয় ত্যাগ করুন
কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিংকস কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
১০। মাদক ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত
মতামত দিন