একজন_শিক্ষক_একাই_ভাল_শিক্ষার্থী_তৈরী_করা_প্রায়_অসম্ভব

গোলাম রাব্বি মোঃ রফিউদ্দৌলা ০১ মে,২০২৩ ৭৯ বার দেখা হয়েছে লাইক কমেন্ট ৫.০০ ()

শিক্ষকের কাজ হলো শিক্ষার্থীদের আপনকরে নিয়ে তার সমস্যা গুলো চিন্হিত করা। সেই সাথে সমস্যা গুলো সমাধান করা ও তাদের কে নির্দেশনা দেওয়া ও সঠিক পথ দেখানো। 

শিক্ষার্থীদের প্রধান কাজ হলো পাঠ্যবই পড়া। অবসর সময়ে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি যার যার ধর্মীয় গ্রন্থ, শিক্ষামূলক গল্প, মনীষীদের জীবনী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, ইতিহাস ইত্যাদি পড়ে জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করা। নিজ দেশ সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন লেখকের বই পড়া, মা-বাবা, ভাই-বোনের সাহায্য নিয়ে যে বিষয়টি ক্লাসে বুঝতে অসুবিধা তা শিখে নেয়া, বাড়ির বুকশেলফে উপযোগী কোনো বই থাকলে সেগুলো পড়ে ফেলা, ওয়েবসাইটে থাকা উপযোগী পাঠসমগ্রী প্রয়োজনে ডাউনলোড করে নেয়া, একটা রুটিন তৈরি করা যেখানে- খাওয়া-দাওয়া, পড়ালেখা, প্রার্থনা, পিতামাতাকে সাহায্য করা, পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধবদের সচেতন করা, সেখানে শরীরচর্চা, খেলাধুলা ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজের সময়-বিভাজন থাকবে। ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের বড় কাজ হলো পিতামাতাকে বাড়ির কাজে সহযোগিতা করা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বেশি বেশি করে কৃষিকাজে পিতাকে সাহায্য করতে পারে। এতে পরিবার উপকৃত হয় এবং নিজেরাও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ফলে পিতা-মাতা ও কৃষক, জেলে, শ্রমিক, মজুর, কামার, কুমার সকল শ্রেণির মানুষের প্রতি দরদ তৈরি হয়। বর্তমানে প্রতিটি পরিবারেই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন অপরিহার্য উপকরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রন থাকা আবশ্যক। খেয়াল রাখতে হবে, এগুলোর প্রতি যেন শিক্ষার্থীদের আসক্তি তৈরি না হয়। টিভি দেখা, গান শোনা ও মুভি দেখার ক্ষেত্রে শিক্ষণীয় মুভি দেখতে নির্দেশনা দিতে হবে।


একজন শিক্ষার্থীর উপরোক্ত  কাজগুলি তদারকি করা একজন শিক্ষকের পক্ষে করা সম্ভব নয়। এখানে অভিভাবকদের সক্রিয় থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শিক্ষকের সাথে অভিভাবকের সুসম্পর্ক থাকা জরুরী। 

মতামত দিন
সাম্প্রতিক মন্তব্য
গোলাম রাব্বি মোঃ রফিউদ্দৌলা
০৯ মে, ২০২৩ ০২:৫২ অপরাহ্ণ

কেমন লাগলো? মতানত আশা করি