বেড়েছে পশুর দাম, কোরবানি কম @@@

বেড়েছে পশুর দাম, কোরবানি কম
দেশের গবাদিপশু
দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কয়েক বছর ধরে কোরবানির পশু
উদ্বৃত্ত থাকছে বলে দাবি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। তবে গত কয়েক বছরে দেশে
পশু কোরবানির সংখ্যা কমেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মানুষের
সক্ষমতা কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে গবাদিপশুর দাম। মূলত এ দুই কারণে দেশে পশু কোরবানি
কমেছে।
অবশ্য লকডাউনের আগে কোরবানির চিত্র ছিল উল্টো। প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯- এই তিন বছরই ধারাবাহিকভাবে পশু কোরবানি বেড়েছিল।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গতবার
দেখা গেছে, বড় গরু অবিক্রিত ছিল। বাজারে ছোট গরু পাওয়া যায়নি। এর একটাই মাত্র কারণ
মানুষের হাতে টাকা ছিল না।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে আর্থিক সংকটে পড়ে বহু মানুষ কোরবানি
দিতে পারছেন না, অন্যদিকে কোরবানি কমলেও কোরবানিযোগ্য পশু প্রতিবছরই এক থেকে দুই লাখ
করে বাড়ছে। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে দেশে অনেক গরু দেশে আসে। মূলত এসব কারণে মূলত উদ্বৃত্ত
বেশি থাকছে।
এবার আরও দাম বাড়তে পারে:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাধীনতার
পর প্রতিবছর পশু কোরবানি বেড়েছে ৫ থেকে ১০ ভাগ হারে। বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে কোরবানি
দেওয়া পশুর সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যায়। তবে ২০২০ সাল থেকে পশু কোরবানি দেওয়া আগের বছরের
তুলনায় কমে যায়। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশের অভ্যন্তরে নানা সংকটের কারণে
সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে বিপাকে পড়ে।
অন্যদিকে কোরবানির পশুর দামও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অস্বাভাবিক
হারে বেড়েছে।
কয়েক বছর ধরেই পশুর দাম বেশি। এবার পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে।
বিদ্যুৎ বিলসহ নানা খাতেও বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে। ফলে খামারিরা বলছেন, এবার পশুর দাম
আরও বাড়তে পারে।
ইতিমধ্যে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। বগুড়ার
ভান্ডার অ্যাগ্রোর মালিক তৌহিদ পারভেজ গত সোমবার জানান, তাঁর খামারের ১০০টি ষাঁড়ের
মধ্যে ৬০টি বিক্রি করেছেন। এ ছাড়া তাঁর খামারের সাতটি দুম্বার ছয়টি এবং ছয়টি ছাগলের
একটি বিক্রি হয়েছে।
এবার দাম একটু বেশি উল্লেখ করে তৌহিদ পারভেজ বলেন, ‘গত
বছর ৬০০ কেজি ওজনের যে ষাঁড় ৩ লাখে বিক্রি করেছি, এবার সেই প্রাণী বিক্রি করছি ৪ লাখে।’
ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন মনে
করেন, এবার খামারগুলোয় ভালো পশু বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া এবার নির্বাচনী বছর। এসব কারণে
মনে হচ্ছে, এবার কোরবানি বাড়তে পারে।
তবে বাংলাদেশ ক্যাটল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি
ও আল মদিনা ক্যাটলের মালিক রমজান আলী মনে করেন এবারও কোরবানি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ পশু বেশি বিক্রি হচ্ছে দাবি করলেও আমার বেশি বিক্রি
হচ্ছে না। তা ছাড়া এবারও মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে,
কোরবানি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম।’

সাম্প্রতিক মন্তব্য


মোঃ নুরুল ইসলাম
লাইক ও পূর্ণ রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা। আমার কনটেন্ট দেখে লাইক, রেটিং ও পরামর্শ প্রদানের জন্য অনুরোধ রইল।


সাইরু আকতার
কয়েক বছর ধরেই পশুর দাম বেশি। এবার পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।


কাজী মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন
কয়েক বছর ধরেই পশুর দাম বেশি। এবার পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মুহাম্মদ নুরুন্নবী
সময়োপযোগী উপস্থাপন। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।


এম. আজিজুর রহমান
একদিকে আর্থিক সংকটে পড়ে বহু মানুষ কোরবানি দিতে পারছেন না, অন্যদিকে কোরবানি কমলেও কোরবানিযোগ্য পশু প্রতিবছরই এক থেকে দুই লাখ করে বাড়ছে। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মোঃ আতিকুর রহমান
সময়োপযোগী উপস্থাপন। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মোছাঃ শাবানা খাতুন
বিদ্যুৎ বিলসহ নানা খাতেও বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে। ফলে খামারিরা বলছেন, এবার পশুর দাম আরও বাড়তে পারে। সুন্দর উপস্থাপন। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

জয় কুমার বড়ুয়া
কয়েক বছর ধরেই পশুর দাম বেশি। এবার পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মুহাম্মদ আবদুল কুদ্দুছ
সুন্দর উপস্থাপন। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মোঃ হাছান উদ্দিন
কোরবানির পশুর দামও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

পরেশ কান্তি সাহা
কয়েক বছর ধরেই পশুর দাম বেশি। এবার পশুখাদ্যের দামও বেড়েছে। লাইক ও রেটিং সহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

মুহাম্মদ ইউছুফ
মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, কোরবানি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। সকলকে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ।
মতামত দিন