G20 সম্মেলন ২০২৩ নিয়ে কিছু কথা

এ বছরের G20 সম্মেলন
G20 হল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তির একটি গ্রুপ। এটি বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় 80% এবং বিশ্বের বাণিজ্যের প্রায় 75% প্রতিনিধিত্ব করে। G20 সম্মেলন প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে G20 সদস্য দেশগুলির নেতারা বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বছরের G20 সম্মেলন 2023 সালের 10-12 সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভাপতিত্ব করেন। G20 সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়গুলি ছিল:
- জলবায়ু পরিবর্তন: G20 নেতারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও জোরদার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা 2050 সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের দিকে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় একমত হন।
- বিশ্ব অর্থনীতি: G20 নেতারা বিশ্ব অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করার এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা কমাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
- করোনাভাইরাস মহামারি: G20 নেতারা করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা ভ্যাকসিন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এবং অর্থনৈতিক সহায়তা সরবরাহের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়াও, G20 নেতারা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, ক্ষুধা, ও বৈষম্য হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, এবং শিক্ষার মতো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
G20 সম্মেলন বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই সম্মেলন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের সুযোগ প্রদান করে। এটি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় এবং একটি টেকসই এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে।
এ বছরের G20 সম্মেলন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দিকে পরিচালিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় 2030 সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার 45% হ্রাস এবং 2050 সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের দিকে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ।
- বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করা।
- করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় ভ্যাকসিন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, এবং অর্থনৈতিক সহায়তা সরবরাহের জন্য কাজ করা।
- বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, ক্ষুধা, ও বৈষম্য হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন, এবং শিক্ষার মতো বিষয়গুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
এই সিদ্ধান্তগুলি বিশ্ব অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রাখে। এগুলি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় এবং একটি টেকসই এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে।

সাম্প্রতিক মন্তব্য


মোঃ দবিরুল ইসলাম
লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আমার আপলোডকৃত কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট ও ব্লগ দেখে আপনার মূল্যবান লাইক রেটিং সহ মতামত ও পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।

মোছাঃ হোসনে আরা
লাইক ও পূর্ণ রেটিংসহ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আমার আপলোডকৃত কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট ও ব্লগ দেখে আপনার মূল্যবান লাইক রেটিং সহ মতামত ও পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।

ফিরোজ আহমেদ
Best wishes for you with like, comment and full rating.
মতামত দিন