<> প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার <>

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের সর্ব দক্ষিণের পর্যটন শহর কক্সবাজার। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার কক্সবাজার। এখানের প্রতিবছর ভিড় করে লাখো দেশী বিদেশী পর্যটক।
কক্সবাজারের মূল আকর্ষণ হলো প্রায় ১৫৫ কিলোমিটার জুড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। শহর হতে নৈকট্যের কারণে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টকে বলা হয় কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত। নানা রকম জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত সংলগ্ন এলাকায় আছে ছোট বড় অনেক দোকান যা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
কক্সবাজার সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে আরেকটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিমছড়ি। ঠাণ্ডা পানির ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। শীতের আদ্র আবহাওয়ায় এ সময় ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়।
কক্সবাজার হতে হিমছড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার বামে চোখে পড়ে সবুজঘেরা সুন্দর পাহাড় এবং ডানদিকে সমুদ্রের নীল-জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। এছাড়াও কক্সবাজারে আরো আছে ইনানী সমুদ্র সৈকত। অভাবনীয় সৌন্দর্যের ভরপুর এই সৈকতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায়।
কক্সবাজারের সর্ব দক্ষিণে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এরকম প্রবালদ্বীপ বিশ্বে বিরল। সেন্টমার্টিন যাত্রাপথে যাত্রীদের চোখে পড়ে প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকা, যা যাত্রীদের মনকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলে।
এই কক্সবাজারেই রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ যা বঙ্গোপোসাগরের পাশ দিয়ে কলাতলী হতে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভ ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। শুধু তাই নয়, কক্সবাজারের টেকনাফ শহরের প্রাণকেন্দ্র নাফ নদীর পাশের পুলিশ ফাড়িতে রয়েছে প্রেমের তীর্থ ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে এটি আজ দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
কক্সবাজারের উত্তরে রয়েছে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী। এই মহেশখালী দেখার জন্যও প্রতিদিন অনেক পর্যটক ভিড় জমায়। এক কথায় বলতে গেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন লীলাভূমি বিশ্বে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টের।

মতামত দিন