![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/xeQeyR6usHTf9slgZ2FcTs3ZJUMTSrQg3I0FsFp5.png)
সহকারী শিক্ষক
![article](https://teachers.gov.bd/shared/frontend/blogs/images/2023-05-21/4zh0BvoCUw40gH3yQuonkdnfq7qtDPmn09KZPvWE.jpg)
২১ মে, ২০২৩ ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ
সহকারী শিক্ষক
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা একটি কম্পিউটার কীবোর্ড কি (What is keyboard in Bengali), কীবোর্ড এর কাজ কি এবং কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি, এগুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। এছাড়া, কীবোর্ড আবিষ্কার করেন কে এবং এর ইতিহাস নিয়েও কিছুটা আমরা জানার চেষ্টা করবো। কিছুদিন আগেই আমরা মাউস কী এবং কত প্রকার এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। তাই সেই বিষয়ে জেনেনিতে চাইলে আমাদের মাউস নিয়ে লিখা আর্টিকেল আপনারা পড়তে পারবেন।
Keyboard হলো এমন একটি hardware device যেটা একটি computer ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।
একটি কীবোর্ড ব্যবহার না করে বা কীবোর্ড এর অবিহনে আমরা কম্পিউটারকে সঠিক এবং সুবিধাজনক ভাবে নির্দেশ গুলো দিতে পারবোনা।
আর, কম্পিউটার যদি সঠিক ভাবে user এর দ্বারা দেওয়া নির্দেশ গুলো বুঝতে না পারে, তাহলে কম্পিউটার থেকে আউটপুট বা সমাধান পাওয়াটা সম্ভব না।তাই, একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর ক্ষেত্রে কীবোর্ড এর ব্যবহার অনেকটা জরুরি।
চলুন, এখন আমরা নিচে সরাসরি কীবোর্ড মানে কি বা কীবোর্ড কাকে বলে, এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
যদি সোজা এবং সরল ভাবে বলা হয়, তাহলে কীবোর্ড হলো একটি ইনপুট ডিভাইস (peripheral input device) যেটার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস গুলোতে ডাটা (Text or Number) গুলো প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
একটি কীবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন আলাদা আলাদা keys এবং buttons থেকে থাকে যেগুলো মূলতelectronic switches হিসেবে কাজ করে থাকে।
কেননা, এই electronic switches গুলোতে যখন নিজের হাতের আঙুলের সাথে প্রেস (press) করা হয়, তখন যেই বাটন গুলোতে আপনি প্রেস করবেন সেটার সাথে জড়িত ডাটা গুলো কম্পিউটার গ্রহণ করে থাকে।
তাই সরাসরি বললে এভাবেও বলা যেতে পারে যে,
একটি কীবোর্ড (keyboard) হলো peripheral device যেটার মাধ্যমে একজন ইউসার যেকোনো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির (electronic machinery) মধ্যে text, numbers বা data গুলোকে প্রেরণ বা ইনপুট (input) করে থাকেন।
ওপরে ছবিতে দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে, একটি কীবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন বর্ণমালা এবং সংখ্যা গুলো ছাড়াও বিভিন্ন অন্যান্য বাটন (buttons) গুলো রয়েছে যেগুলোর কিছু বিশেষ কাজ থাকছে।
কিছু কিছু keyboards গুলো একটি device এর মধ্যে সরাসরি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়, উদাহরণ স্বরূপে আমরা ল্যাপটপ এর কীবোর্ড কথা বলতে পারি।তবে, এরকম প্রচুর device গুলো রয়েছে যেগুলোর ক্ষেত্রে একটি কীবোর্ড আলাদা ভাবে USB বা Bluetooth এর মাধ্যমে সংযুক্ত (connect) করে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ স্বরূপে, আমরা একটি personal desktop computer এর কথা বলতে পারি।
তাহলে আশা করছি বন্ধুরা, কীবোর্ড বলতে কি বুঝায় বা একটি কম্পিউটারের কীবোর্ড কাকে বলে বিষয়টা আপনারা সম্পূর্ণ স্পষ্ট করে বুঝতে পেরেছেন।
একটি কম্পিউটার কীবোর্ড এর keys বা buttons গুলোর বিশেষ জমাট বাঁধাকেই কীবোর্ড লেআউট বলা হয়। Keyboard layout এর দ্বারা একটি keyboard এর বাটন, আকার এবং প্রকার নির্ধারিত করা হয়।
বর্তমান সময়ে, বিভিন্ন আলাদা আলাদা layouts এর সাথে keyboards গুলো উপলব্ধ রয়েছে। বিশ্বের আলাদা আলাদা দেশে তাদের নিজের লিপি এবং ভাষা হিসেবে keyboard layout বিকশিত করেছেন।
আমরা এই প্রত্যেক keyboard layouts গুলোকে মূলত দুটো মূল ভাবে বিভাজিত করতে পারি।
চলুন, প্রত্যেকটি keyboard layout এর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
যদি আপনারা নিজের keyboard এর কেবল Letter Keys গুলোকে দেখে থাকেন, এবং ওপরের বাম দিক থেকে পড়া শুরু করে থাকেন, তাহলে দেখবেন, Q – W – E – R – T – Y থেকে keys গুলো শুরু হচ্ছে।এই ধরেন layout বা format এর সাথে থাকা keyboard গুলোকে QWERTY keyboard layout বলেও বলা হয়।
এটা বিশ্বজুড়ে সব থেকে অধিক প্রচলিত এবং অধিক ব্যবহার হওয়া কীবোর্ড লেআউট। আধুনিক কম্পিউটার কীবোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে এই লাউট ব্যবহূত হয়ে থাকে।
QWERTY Layout এর ওপরে ভিক্তি করে কিছু অন্যান্য কীবোর্ড লেআউট গুলো রয়েছে,
যেই কীবোর্ড গুলোতে keys গুলোকে QWERTY Layout এর সাথে রাখা হয়না, সেই প্রত্যেক কীবোর্ড লেআউট গুলোকেই Non-QWERTY keyboard layout বলা যেতে পারে।
কিছু Non-QWERTY Keyboard Layouts এর উদাহরণ গুলো হলো,
AZERTY কীবোর্ড হলো QWERTY কীবোর্ড এর ফরাসি সংস্করণ (French version). AZERTY কীবোর্ড এর মধ্যে Q এবং W নামের keys গুলোকে A এবং Z নামের keys এর সাথে অদলবদল (interchange) করা হয়েছে।
DVORAK কীবোর্ড মূলত একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস যেটাকে ১৯৩০ এর দশকে টাইপিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং টাইপিং এর সাথে জড়িত ত্রুটি (error) গুলোকে কমানোর ক্ষেত্রে ডিজাইন করা হয়েছিল।