Loading..

ব্লগ

রিসেট

০৮ মে, ২০২৪ ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

জন্মবার্ষিকীতে---------_----_-_____- বিনম্র শ্রদ্ধানিবেদন।



দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রমা করের মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ হাতেলেখা যাবতীয় নতুন গানের কপি যাঁর হাতে প্রথমে ধরিয়ে দিতেন, যাঁর পূর্বের নাম ছিল 'শান্তিময়'। এ ছাত্রটিই সেই,


🌹'#শান্তিদেব_ঘোষ'🌹

(৭ মে, ১৯১০ - ১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯)

১১৫ তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।

--একজন  লেখক, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী ও রবীন্দ্রসংগীত-বিশারদ। তিনি ছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক। কৈশোরে তিনি রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের কাছে গান শিখতে শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তিনি শ্রীলঙ্কা, জাভা ও বালিতে গিয়েও সংগীত ও নৃত্যশিক্ষা গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের উৎসাহে তিনি কবির লেখা গীতিনাট্য-নৃত্যনাট্য ও নাটকে গান, নাচ ও অভিনয়ও করতে শুরু করেন।

প্রথম রেকর্ডিং 'হিন্দুস্থান মিউজিক্যাল পার্টি'র হয়ে ‘জনগণমন’ ও ‘যদি তোর ডাক শুনে’। পরে 'সেনোলা'য় রেবা মজুমদারের সঙ্গে ‘আমার প্রাণের মানুষ’ ও ‘বাকি আমি রাখব না’। রবীন্দ্রপ্রয়াণের পরে 'এইচ এম ভি' থেকে তাঁর ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’ ও ‘বসন্তে কি শুধু’-সহ বহু গান বিখ্যাত হয়ে আছে বাঙালি মনে।


রেকর্ডের পাশাপাশি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়— রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত বিচিত্রা, জাভা ও বালির নৃত্যগীত, রূপকার নন্দলাল, ভারতীয় গ্রামীণ সংস্কৃতি, রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাদর্শে সঙ্গীত, নৃত্য ও অভিনয়ের স্থান, মিউজিক অ্যান্ড ডান্স ইন রবীন্দ্রনাথ টেগোর’স এডুকেশনাল ফিলজফি, জীবনের ধ্রুবতারা।


'পদ্মভূষণ' সম্মানে সম্মানিত, ললিতকলার অ্যাকাডেমির ফেলো, প্রবন্ধ সাহিত্যে আনন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত শান্তিদেব কবিগুরুর স্নেহধন্য ছিলেন। রাশিয়ার পদক, বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম, বর্ধমান ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিট, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আলাউদ্দীন পুরস্কার, টেগোর রিসার্চ সোসাইটির ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন শান্তিদেব ঘোষ।


শেষের সে দিন---

বার্ধক্যজনিত কারণে শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু হয় ১ ডিসেম্বর ১৯৯৯ কলকাতার এসএস কেএম হাসপাতালে। স্ত্রী ইলা দেবীর ইচ্ছানুযায়ী শান্তিনিকেতনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর।

[তথ্য সৌজন্য: পাপিয়া মিত্র। আনন্দবাজার আর্কাইভ ও উইকিপিডিয়া।]


ছবি: রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে শান্তিদেব। (নীচে বসে)।[সৌজন্য: আনন্দবাজার]

#সুরওবাণী

আরো দেখুন