Loading..

ব্লগ

রিসেট

০৪ নভেম্বর, ২০১৩ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহানবী (সা) বিশ্বমানবের সফল শিক্ষক

মহানবী (সা.) বলেছেন, “বুয়িসতু মুয়াল্লিমান”-আমি শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি। বিশেষ প্রক্রিয়ায় আল্লাহর নিকট হতে শিক্ষা ও শিক্ষাদান কৌশল প্রাপ্ত হয়ে তিনি মানুষের শিক্ষকতার গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল মনোবিজ্ঞানসম্মত। আর তাই তাঁর কাছে যারাই শিক্ষালাভ করেছিলেন আশ্চর্যজনকভাবে তাঁদের আচরণিক পরিবর্তনটা ছিল মানবেতিহাসের সবচে লক্ষণীয় মজার ব্যাপার। বর্তমান যুগে শিক্ষকগণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধমকি, হুমকি কিংবা বেতের ও তিরস্কারের শাসন চালিয়ে শিক্ষাদান করতে নিজেকে পটু মনে করেন। আসলে তা ইসলাম কিংবা মানবতাসম্মত নয়। মানুষের মাথায় কাম্যবিষয়কে ঢুকাতে পারাটাই শিক্ষকের আসল সফলতা। একবার শিক্ষার্থীর মস্তিস্কে বিষয়টি ঢুকিয়ে বিপ্লব ঘটাতে পারলেই ব্যাস সফলকাম। এ ব্যাপারে মহানবী (সা) এর একটি ঘটনা নিম্নে প্রদত্ত হলো:

একবার এক বিধর্মী মসজিদে ঢুকে প্রসার করতে লাগলো। তা দেখে উপস্থিত সাহাবাগণের অনেকেই রাগান্বিত হয়ে যান। আসলে হবারই কথা। অনেকেই তাকে বাধা দিতে চাইলেন, আবার কেউবা শাস্তি দিতে চাইলেন।এতদ্বশ্রবণে ও দর্শনে মহানবী (সা) তাঁদের বাধা দিয়ে বললেন তাকে তার কাজটি শেষ করতে দাও। প্রসাব শেষ হয়ে গেলে মহানবী (সা) লোকটিকে ডেকে বললেন: এটি মসজিদ। এখানে নামাজ আদায় করা হয়, কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, আল্লাহর ইবাদত করা হয়-প্রসাবের জায়গা নয়। তুমি যে প্রসাব করলে আসলে তা কি ঠিক ছিল? মসজিদে প্রসাব করতে নেই। লোকটি লজ্জিত হয়ে বলল, আর তার দ্বারা এরূপ কাজ সম্পন্ন হবে না। লোকটি মহানবীর (সা)’র ব্যবহারে অভিভূত হলো।

আসলে আমি বলতে চাইছি, মহানবী (সা)’র এ মানবিক ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাদান পদ্ধতি লোকটির আচরণিক পরিবর্তনের মূলে ছিল ক্রিয়াশীল। আমরা যারা শিক্ষক আছি তাদের উচিৎ হবে তাঁর এ শিক্ষাদান কৌশল রপ্ত করা। আল্লাহ আমাদের সে তৌফিক দান করুন। আমিন!

 

আরো দেখুন