Loading..

ব্লগ

রিসেট

০১ জুলাই, ২০২৪ ০৭:০১ অপরাহ্ণ

কারি পাতা খাওয়ার উপকারিতা জানলে অবাক হবেন ।

কারিপাতার উপকারিতা কি কি

কারিপাতায় সালফারঘটিত এক ধরণের উদ্ধায়ী তেল থাকায় সুন্দর ঝাঁঝালো গন্ধ আসে৷ কাঁচা পাতা ডললে পাতা থেকে গোলমরিচ, লবঙ্গ, মরিচ, আদা ইত্যাদি মসলার মিশ্রিত এক ধরণের ঘ্রাণ বের হয়৷


এই সুগন্ধির জন্যই কারিপাতা রান্নায় মসলাপাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ পাতা পক্ষল ও যৌগিক, নিমপাতার মতোই৷ তবে পাতাগুলো ডালের মাথা থেকে চারিদিকে সূর্যের রশ্নির মতো ছড়িয়ে পড়ে৷ তাই পত্রবিন্যাস সুন্দর দেখায়৷ প্রতিটি পাতায় অনুপত্রকের সংখ্যা 9 – 15 টি৷ অনুপত্রের কিনারা খাঁজকাটা, অগ্রভাগ সুচালো৷ ডালের মাথায় পুষ্পমঞ্জরীতে সাদা রঙের ফুল ফোটে, ফুলেও সুগন্ধ রয়েছে৷


ফেব্রুয়ারি, মে মাসের মধ্যে ফুল ফোটে৷ ফুল থেকে নিমের মতো ফল হয়৷ ফল ডিম্বাকার থেকে গোলাকার, কাঁচা ফলের রঙ সবুজ৷ পরিপক্ব হওয়ার সাথে সাথে লালচে থেকে কালো হয়ে যায়৷ বীজ থেকে সহজেই চারা হয়৷


কাঁচা কারিপাতা কয়েকটি পানিতে ধুয়ে রান্নার সময় তরকারিতে ছিড়ে দিলে রান্নায় সুঘ্রাণ ও ঝাঁঝ আসে৷ গরু ও খাসির মাংস, মিশ্র সবজি, ডাল ইত্যাদি কারিপাতা দিয়ে রান্না করা যায়৷ কারিপাতা শুকনো করে গুঁড়ো হিসেবে কারি পাউডার তৈরি করা যায় বোতলে ভরে রেখে রান্নার সময় তা ব্যবহার করা যায়৷ তবে কাঁচা পাতায় ঘ্রাণ বেশি৷


কারিপাতা, গাছ, শিকড় সবই ঔষধি গুণসম্পন্ন৷ গাছের শিকড় অর্শ রোগে উপকারী৷ আমাশয় ও ডায়রিয়া সারাতেও কারিপাতার বেশ উপকারিতা পাওয়া যায়৷ কয়েকটা সবুজ পাতা চিবিয়ে খেলে অর্শ রোগ থেকে মুক্তিলাভ করা যায়৷ পাতা সেঁকে ও তা ক্বাথ তৈরি করে খেলে বমিভাব দূর হয়৷ রেচনতন্ত্রের ব্যথা দূর করতে পাতার রস সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ শরীরে কোথাও কোনো বিষাক্ত পোকা কামড়ালে কাঁচা কারিপাতা ডলে সেখানে লাগালে দ্রুত ভালো হয়ে যায়৷


যকৃতের কঠিন ব্যথা সারাতে রোগীদের কারিপাতা গাছের শিকড়ের রস খাওয়ানো হয়৷ শুধু পাতা নয়, এর ফলও খাওয়া যায়৷ বীজ থেকে যে তেল পাওয়া যায় তার গন্ধ অনেকটা নারিকেল তেলের মতো৷ আর স্বাদ মরিচের মতা ঝাঁঝালো৷ তেল জিহ্বায় স্পর্শ করলে ঠান্ডা মনে হয়৷ এ গাছে সহজে কোনো রোগ পোকা আক্রমণ করে না৷


আরো দেখুন