Loading..

ব্লগ

রিসেট

০২ জুলাই, ২০২৪ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

শটি বা বুনো হলুদ ফুল (ইংরেজি নামঃ Siam Tulip Flower, বৈজ্ঞানিক নামঃ Curcuma zedoaria)
উদ্ভিদের নামঃ শটি বা বুনো হলুদ ফুল
অন্যান্য নামঃ কস্তুরি হলুদ, হইল্লা, বন হলদি, ফইল্লা, জংলি হলুদ, হুইড, ঘিকমা, সুগন্ধমূলা, সুভদ্রা, সৌম্যা, পলাশিকা ইত্যাদি।
ইংরেজি নামঃ Siam Tulip Flower/ wild ginger/ Aromatic Turmeric
বৈজ্ঞানিক নামঃ Curcuma zedoaria
এই ফুলের ব্যবহার আছে প্রসাধনী ও রান্নায়। বসন্তে মাটি ফুঁড়ে ফুলটি জন্মায়, এরপর গাছের পাতা হয়। পাতাও কয়েক মাস পর আর থাকেনা। মাটির নিচে থাকে শুধু কন্দ। পরের বছর আবার মাটি ফুঁড়ে ফুল আসে। পথের ধারে আপনা আপনিই জন্মায়। এভাবেই চলে এই ফুলের জীবনচক্র। শটি বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। আমাদের দেশে
এই উদ্ভিদকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন নামে ডাকে। বুনোফুল এত বর্ণিল ও হৃদয়গ্রাহী হতে পারে, শটিফুল না দেখলে তা বিশ্বাস হতো না। শুধু তা-ই নয়, ফুল হিসেবেও এটি কিছুটা ব্যতিক্রম। বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা কন্দ থেকে সরাসরি একটি মঞ্জরিদণ্ড বের হয়। তবে দেশে ব্যাপক হারে শালবন ধ্বংস হওয়ায় শটিফুলও সংখ্যায় কমেছে। কারণ, জনবহুল এলাকায় শটিগাছ জন্মানোর কোনো সুযোগ নেই। সাধারণত প্রাকৃতিক বন-বাদাড়েই ওদের জন্ম ও বৃদ্ধি স্বাভাবিক। বছরের বেশিরভাগ সময় শটিফুলের দেখা পাওয়া যায় না। শীতঘুমের দীর্ঘ সময়ে মাটির ওপরে কোনো অস্তিত্বই থাকে না ওদের। কিন্তু বসন্ত বা গ্রীষ্মের একপশলা বৃষ্টিতেই ওদের কন্দমূলে এক ধরনের শিহরণ বয়ে যায়। তখন অসংখ্য লম্বাটে পাতার ঠাস বুননীতে ঝোপাল হয়ে ওঠে। মাটি ভেদ করে একটি লম্বা মঞ্জরিদণ্ড বেরিয়ে আসে। এ সময় শটি ঝোপগুলো লাল, বেগুনি, হলুদ ও গোলাপি আভায় সুশোভিত হয়ে ওঠে। শটি দেখতে হলুদ গাছের মতোই। এটি বর্ষজীবী গুল্ম বীরুৎ শ্রেণির গাছ। সাধারণত এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গাছের গোড়ার কন্দ বা গেড় কর্পূরগন্ধি, মাটির নিচে সমান্তরালভাবে আদা বা হলুদের মতো ছড়ানো স্বভাব। এতে আছে সিনিওল সেসকুইটারপিন। পেটফাঁপা ও নানা ধরনের চর্মরোগে ব্যবহার্য। আগের দিনে জ্বর হলে বার্লির মতো করে কন্দের ক্বাথ খাওয়ানো হতো। লাল আবির তৈরিতে সুবাসিত কন্দের গুঁড়া ব্যবহৃত হয়। কোনো কোনো জনগোষ্ঠীতে শটির কন্দ খাওয়া হয়। ছয়শ’ শতাব্দীর দিকে আরবদের মাধ্যমে গাছটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

আরো দেখুন