
প্রভাষক

০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:২৬ পূর্বাহ্ণ
প্রভাষক
এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি, আর এইচএসসি হবে জুন মাসের শেষের দিকে। ফি বছর পঁয়ত্রিশ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী দেশের সর্ববৃহৎ এই দুটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডগুলোর কর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে আরো বলেছেন, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার বলেন, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে এ পরীক্ষা হবে। ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এ পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরুর লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসির টেস্টের ফল প্রকাশ করতে বলা হয়েছে স্কুলগুলোকে। এসএসসি পরীক্ষার মাস দুয়েক পর জুনের শেষ দিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তপন কুমার সরকার।
তিনি বলেন, “আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সংক্ষিপ্ত বা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে ও পূর্ণ সময়ে।”
স্বাভাবিক নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয় বা পত্রের পরীক্ষা হয় তিন ঘণ্টা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নম্বর বিভাজন অনুযায়ী, প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
বাংলা, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বা ইসলামের ইতিহাসের মত তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে প্রতি পত্রে ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তবে ইংরেজির প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষা হবে।
আর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বা ভূগোলের মত ব্যবহারিক বিষয়গুলোর প্রতি পত্রে ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ৭৫ নম্বরের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। এ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে।
মোট তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিট বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। আর বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
৫৩
১০২ মন্তব্য