Loading..

ব্লগ

রিসেট

৩১ মার্চ, ২০২৫ ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু, আঘাত হানবে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে?

দ্রুত গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ‘২০২৪ ওয়াইআর ৪’ নামের একটি গ্রহাণু। আশঙ্কা রয়েছে, পৃথিবীতে এটি আছড়ে পড়তে পারে ২০৩২ সালের মধ্যে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্বের কয়েকটি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানও। সম্প্রতি এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

নাসার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার শঙ্কা ২ দশমিক ৩ শতাংশ। যদিও সেই আশঙ্কা বেড়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে বলে সংস্থাটির বরাতে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জানায় এনডিটিভি। 

নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে নিরাপদে বেরিয়েও যেতে পারে। তবে যদি এটি আছড়ে পড়ে, তা ঘটতে পারে ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর নাগাদ। 
 
গতিপথ ও আকার অনুযায়ী গ্রহাণুটি কোথায় কোথায় আছড়ে পড়তে পারে তা অনুমান করেছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে প্রকল্পের বিজ্ঞানী ডেভিড র‍্যাঙ্কিন জানিয়েছেন, গ্রহাণুটির জন্য একটি ‘রিস্ক করিডর’ তৈরি করা হয়েছে। যেখানে পৃথিবীর বড় একটি অংশ রয়েছে। 

 
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই রিস্ক করিডরে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সুদান, নাইজেরিয়া ইত্যাদি অঞ্চলগুলো। 
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণুর কক্ষপথ জেনে শুধু বোঝা যায় যে, এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। কিন্তু এর প্রভাব কতটা বিধ্বংসী হবে, তা বলা যায় না। প্রথম দিকে এটিকে ছোট মনে হলেও, এখন সেই সময়ের চেয়ে এর দ্বিগুণ আকার নজরে এসেছে বিজ্ঞানীদের। এই গ্রহাণুতে ৫০০টি পরমাণু বোমার চেয়ে বেশি জ্বালানি জমাট বাঁধা অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
 
এনবিসি নিউজ বলছে, গত বছরের ডিসেম্বরে চিলির এক গবেষণা স্টেশন থেকে প্রথম এই গ্রহাণু শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকেই টেলিস্কোপ থেকে এই বড় গ্রহাণু নিয়ে চলছে গবেষণা। এটি প্রতি ঘণ্টায় ৩৮ হাজার মাইল গতিতে আসতে পারে। নাসা নিয়মিত গ্রহাণুটিকে নজরে রাখছে। পৃথিবীতে আঘাত না হানলে এটি চাঁদে আঘাত হানতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন