প্রভাষক

১১ জুন, ২০২৫ ০৭:৪৫ অপরাহ্ণ
প্রভাষক
পরিবার উদ্দেশ্যহীন কোন বন্ধনের নাম নয়। পারিবারিক জীবন যাপন নিছক পাশবিক লালসা সর্বস্ব নিরুদ্দেশ যৌন চর্চা নয়, বরং তার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সন্তান জন্মদান, সন্তানদের লালন-পালন ও তাদের নৈতিক শিক্ষা দিয়ে এমনভাবে যোগ্য করে তোলা যেন তারা ভবিষ্যৎ সমাজের নাগরিক হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। অর্থাৎ পরিবার হচ্ছে মূলত মানুষ তৈরির কারখানাপরিবারই হচ্ছে শিশুর প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান।এখান থেকেই তার চরিত্রের ভিত্তি গড়ে উঠে। অর্থাৎ Foundation training এর মূল ক্ষেত্রই হচ্ছে পরিবার। তাই পরিবারে পিতামাতার প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে সন্তানকে ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। পরিবারই হচ্ছে শিশুর প্রাথমিক ও নৈতিক শিক্ষার প্রাথমিক ও শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। এখান থেকেই তার চরিত্রের ভিত্তি গড়ে উঠে। অর্থাৎ Foundation training এর মূল ক্ষেত্রই হচ্ছে পরিবার। তাই পরিবারে পিতামাতার প্রধান দায়িত্বই হচ্ছে সন্তানকে ছোট থেকেই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। আদর্শ পরিবারের সন্তান সুসন্তান হবে এটাই স্বাভাবিক। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে সন্তানকে গড়ার জন্য পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যদেরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্তানকে মাঝেমধ্যে কাছে কিংবা দূরে কোথাও প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে যেতে হবে। ভ্রমণেও শিশু অনেক কিছু শিখতে পারে। বর্তমান শহুরে সমাজে অনেক পরিবারের দুই অভিভাবকই থাকেন নিজ কর্মস্থলে ব্যস্ত। ফলে তাদের কাছ থেকে যতটুকু সময় সন্তানের প্রাপ্য তা থেকে সে হয় বঞ্চিত। তাই কার্টুন ছবি দেখে আর মোবাইল-গেম খেলে শিশু সময় কাটায়। এতে তার মস্তিষ্ক ধারণ করে যতসব উদ্ভট চিন্তা। প্রযুক্তির আগ্রাসন আর শত কাজের ব্যস্ততায় শিশুর চরিত্র গঠনে বর্তমানে আমরা প্রায় নিষ্ক্রিয় ভূমিকাই পালন করেছি। কিন্তু যেসব মা-বাবা সচেতনভাবে এ লক্ষ্যে সন্তানদের সময় দিচ্ছেন তারা নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান ও সফল। এ উদ্যোগ একদিকে যেমন তাদের সন্তানদের মাঝে সমমর্মিতা, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ববোধের জন্ম দিচ্ছে তেমনি এর ফলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুস্থ, সৎ ও আত্মনির্ভরশীল নাগরিক সৃষ্টির মাধ্যমে উপকৃত হবে দেশ ও সমাজ। তবে ঘরের পরিবেশ ভালো বলেই যে সন্তান সভ্য-ভদ্র ও আদর্শবান হবে তা ঠিক নয়। সন্তান কাদের সঙ্গে মেশে, বন্ধুত্ব করে সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। মোটামুটি পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকেই শিশুর মধ্যে নিজস্ব সম্মানবোধ সৃষ্টি হয়। অবশ্যই ছোট থেকেই সন্তানের সামনে সুশিক্ষার বিষয়ে আলোচনা এবং তার মধ্যে তা চর্চার প্রচলন ঘটাতে হবে। প্রত্যেক ধর্মের অনুশাসনেই আদর্শ-সভ্যতা-নৈতিকতার শিক্ষা রয়েছে। আর ইসলামের আসমানি কিতাব কুরআন তো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। সুতরাং একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা ও অনুশাসন মেনে চলার মাঝেই, সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি অভিভাবকদের কর্তব্য তার আদরের সন্তানকে সেগুলোর চর্চা করানো। শিক্ষিত হওয়ার জন্য যেমন একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োজন, তেমনি সন্তানকে সুস্থ মানসিকতার ধারক-বাহক করার জন্য সভ্যতা-ভদ্রতা-নৈতিকতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো মননের অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে।
সংগৃহীত
৫৮
১১৩ মন্তব্য