
সহকারী শিক্ষক

১১ জুন, ২০২৫ ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
সহকারী শিক্ষক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: শিক্ষা জগতে নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে
মোঃ তাসফিকুল ইসলাম চৌধুরী
সহকারী শিক্ষক ( তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)
সানোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়
পূর্ব বাকলিয়া, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে আলোচিত ও সম্ভাবনাময় শাখা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI)। এটি এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যন্ত্র বা সফটওয়্যার মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে কাজ করে?
AI মূলত ডেটা ও অ্যালগরিদমের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটি বিশাল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করে পূর্বাভাস দিতে পারে, নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং শেখার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে—যা একে মানুষের চিন্তাভাবনার নিকটবর্তী করে তোলে।
শিক্ষাক্ষেত্রে AI-এর ব্যবহার:
AI ইতোমধ্যেই শিক্ষা খাতে নানা রকম পরিবর্তন এনে দিয়েছে। যেমন:
স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন ব্যবস্থা: MCQ বা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দ্রুত মূল্যায়ন করা যায়।
ব্যক্তিকেন্দ্রিক শিক্ষাদান: শিক্ষার্থীর দুর্বলতা বুঝে তার উপযোগী কনটেন্ট সরবরাহ করা যায়।
ভার্চুয়াল সহকারী: ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়া, বা পাঠ পরিকল্পনায় সহায়তা করা সম্ভব।
চ্যালেঞ্জ ও করণীয়:
যদিও AI-এর ব্যবহার আশাব্যঞ্জক, তবে তা সচেতনভাবে ও মানবিক মূল্যবোধ বজায় রেখে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের উচিত AI সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এবং এর সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দক্ষ করে তুলতে পারে। তবে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের নিজেদেরও হতে হবে জ্ঞানসচেতন ও প্রযুক্তি-বান্ধব।
৫৮
১১৩ মন্তব্য