Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

৩০ জুন, ২০২১ ০১:২৯ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন শিক্ষা কার্যক্রম

২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন করোনা প্রথম আঘাত হানলো ঠিক সে সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা কিভাবে হবে? - এ নিয়ে শিক্ষক অভিভাবকদের ভাবনার অন্ত ছিলো না। কিবাবে শিক্ষার্থীদের এই অপূরণীয় ক্ষতি থেকে বাঁচানো যায় কিংবা ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায় তা নিয় সবাই ভাবতে থাকি। তখন অনলাইনে পাঠদানের চিন্তা মাথায় আসে। সমস্যা একটাই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে জানলেও প্রাথমিকের কতোজন শিক্ষার্থী এটা ব্যবহার করতে পারবে আর কতোজন অভিভাবকই এগিয়ে আসবেন? তারপরও আমরা শুরু করলাম। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গুণী শিক্ষকেরা এগিয়ে আসলেন। যাদের স্মার্টফোন ছিলোনা, শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাস করা এবং শিক্ষার্থী তথা নিজের সন্তানদের ক্লাসগুলো দেখানোর জন্য স্মার্টফোন কিনে ফেললেন অনেকেই। অনলাইন ক্লাসের জন্য বয়া, ট্রাইপড, বোর্ড তথা আনুষঙ্গিক যতোগুলো উপকরণ প্রয়োজন কিনতে দ্বিধা করেননি কেউ। ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। শিক্ষার্থীরা রেসপন্স করতেও শুরু করে। তারা বাড়ির কাজ করে পাঠায়। এ যেন নীরব এক বিপ্লব। শিক্ষকেরা স্পষ্টভাবে দুই ভাগ হয়ে যায়। এক অংশ করোনাকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ করে নিজেকে পরিবর্তন করে অনলাইনে পাঠদানে নিজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা প্রমাণ করে অন্য অংশও করোনাকে আশীর্বাদ হিসেবে গ্রহণ গৃহস্থালি এবং কাজে মনোনিবেশ করে আর যারা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে তাদের বিষোদগার করতে থাকে। 

এক্ষেত্রে উভয় দলকেই আমরা বিজয়ী ধরে নিতে পারি। লাভ কিন্তু উভয়েরই হয়েছে। বর্তমানে গুগল মিটে ক্লাস নিতে যাওয়া দ্বিতীয় অংশের আনাড়িপনা এবং প্রথম অংশের সাহায্য নেওয়া দেখতে ভালোই লাগে। আমরা অবশ্য চাই সবাই প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হোক। এগিয়ে যাক আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি