প্রধান শিক্ষক
১৩ জুলাই, ২০২১ ০২:০২ অপরাহ্ণ
তাল ও এর গুনাবলী
তাল ও এর গুনাবলী
ভাদ্র মাসের কথা মনে হলেই আসে তালের কথা।
বাংলাদেশে তাল একটি অতিপরিচিত ফল। তালের পিঠা, পায়েস বাঙ্গালীদের অতিপ্রিয় খাবার।
ভাদ্র মাসে তালের পিঠা তোইরি হয়না এমন একটি পরিবারও বাংলাদেশে পাওয়া যাবেনা।
তাছাড়া কঁচি অবস্থায় তালের শাঁস অত্যন্ত সবার পছদনের খাবার। তালের রসের গুড় ও গুড়
দিয়ে তৈরি নানা রকম খাবার যেমন পায়েস পাটালী মিছরি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার।
তালের
গুণাবলী
তালে আছে ভিটামিন, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন,
ক্যালশিয়াম। পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রামে আছে ৮৭ কিলোক্যালোরি, জলীয় ৭৭।৫ গ্রাম
আমিষ ৮ গ্রাম চর্বি ০.১গ্রাম শর্করা ১০.৯ গ্রাম খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২৭
মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, এবং আরও নানারকম খাদ্য উপাদান।
তালসত্ত্ব
তালের রস
ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব। এটি রোদে শুকিয়ে সারা বছর খাওয়া যায়। অনেকে ভাত
ও দুধের সঙ্গে এই তালসত্ত্ব খেয়ে থাকেন।
তালের
জুস
তালের
ক্বাথ, দুধ, চিনি দিয়ে জুস বানানো যায়। তাল
যেহেতু ভাদ্র মাসে পাকে, সেই সময়ের গরমে এই জুস খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
তালের বড়া
তালের ঘন নির্যাসের সঙ্গে ডিম,
চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো
নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা তৈরি করা হয়। গ্রামগঞ্জে এই পিঠার ঐতিহ্য রয়েছে। তালের
পিঠার সুন্দর সুবাস রয়েছে।
তালের কেক
কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মিশিয়ে কেক
বানানো হয়। এর রং খুবই আকর্ষণীয় হয়। তালের কেকের মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ
ব্যবহার করলে ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগীদের জন্য ভালো খাবার হতে পারে।
তালের সেঁকা পিঠা
চিনি, দুধ,
নারকেল যোগ করে তালের ক্বাথ জ্বাল দিয়ে তার সঙ্গে চালের গুঁড়া বা
আটা মিশিয়ে কলাপাতায় খামির রেখে চুলায় সেকে নিয়েও খেতে দেখা যায়। এ ছাড়া তালের
রুটিও একটি মজাদার নাশতা
পাকা তালের উপকারিতা
তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য
রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।
তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভালো ভূমিকা রাখে।
সংগৃহীত