Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২২ জুলাই, ২০২১ ০৮:৫৯ অপরাহ্ণ

'করোনা ভ্যাকসিন'

জনহীন পথঘাট, লোকালয়। পথচারী আসছেন যাঁরা, বেশিরভাগই রোগী, হয়তো এই অজানা জ্বরেই। তাঁদের চিহ্নিত করা, নির্ণয় করা, কঠিন চিকিৎসা করা ও নিরাময় করে তোলার দায় বেশ বিপদসস্কুল। সকল ডাক্তারই অবগত যে, এই চিকিৎসায় অবতারণ মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়া অপেক্ষা কোন অংশে কম নয়। যেখানে যথার্থ কারণেই কেউ কেউ আজ কাজ বন্ধ করে গৃহবন্ধী, সেখানে ডাক্তাররাও হয়তো মগ্ন থাকতেই পারতেন অন্তর্মুখ জীবনচর্যায়, সাধনে স্বাধ্যায়ে-অনায়াসেই।আমরা সকলেই করোনা বিপর্যয়ের দ্রুত সমাপ্তি চাই। তবে এপ্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার, ভাইরাস খুব দ্রুত তার চরিত্র বদল করতে পারে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘মিউটেশন’। মিউটেশনের ফলে করোনা যেমন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যেতে পারে, তেমনি শক্তি বাড়িয়ে অন্যরুপে ফিরেও আসতে পারে। তবে সৃষ্টি হওয়া নতুন প্রজাতি ভয়ঙ্কর কিনা তা জানতে আরো গবেষণা প্রয়োজন। তাহলে আমাদের কী করণীয় ? আমরা ভয় পাব না, নিরাশ হব না। এপ্রসঙ্গে আমরা স্মরণ করব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেই এগিয়ে যাব নিজ গন্তব্যে।

ঋতুবদলের সর্দি-জ্বরের তুলনায় কোভিড কেন বিপদজনক ? করোনা ভাইরাস সংক্রামিত ব্যক্তির শরীরে অনেকদিন বেশি সক্রিয় থাকে এই দীর্ঘ সময়ে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। বাংলাদেশে করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর আইইডিসিয়ারের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ স্থান বাজার ও গনপরিবহন। বিশেষ করে উপসর্গহীন রোগী নিজের অজ্ঞাতসারে সুস্থ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় করোনা ভাইরাস। বিপাদের আর একটা কারণ হলো উপযুক্ত প্রতিষেধকের অভাব। করোনা মোকাবিলার কার্যকরী কোন সুনির্দিষ্ট ঔষধের ব্যবহার জানা যায়নি, যা আছে তা একান্তই জীবনদায়ী ব্যবস্থামাত্র।

বিশ্বব্যাপী এই বিপর্যয়কে সামাল দেওয়ার উপায় একটিই। দ্রুত প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন তৈরি এবং তার সুপরিকল্পিত প্রয়োগ। অতিমারীর এই ভয়াবহ রুপ বিভিন্ন দেশকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে শিখিয়েছে। এই মুহুর্তে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী নিরস্তর কাজ করে চলেছেন করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে। করোনা ভাইরাস- জনিত অতিমারী বিগত একবছরের বেশী বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে নিদারুণভাবে ব্যাহত করেছে। এই অতিমারী সহনশীলতা ও সহযোগিতার যে শিক্ষা দিয়ে গেল তা ভবিষ্যতে পথচলায় আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবে।