Loading..

ম্যাগাজিন

২৬ জুলাই, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

জবা ফুল, মোছাঃ মার্জুয়ারা বেগম, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিমলা, নীলফামারী।

জবা একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুল। এ ফুল গোলাপি, সাদা, লাল, হলুদ—নানা বর্ণের হয়। বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। সাধারণত শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে বাড়ির আঙিনা কিংবা বাড়ির ছাদে জবা ফুলগাছ লাগানো হয়।  মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম এই জবা। উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। ১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস এর নাম দেন ‘Hibiscus rosa-sinensis’। লাতিন শব্দে ‘rosa-sinensis’-এর অর্থ ‘চীন দেশের গোলাপ’। বাংলায় নাম রক্তজবা, জবা, জবা কুসুম।      

জবার বংশবিস্তার হয় শাখা কলমের মাধ্যমে। প্রায় সারা বছরই ফোটে এ ফুল। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থাকে। গাছের উচ্চতা প্রায় ৮ থেকে ১৬ ফুট। পাতাগুলো চকচকে সবুজ ও ফুলগুলো উজ্জ্বল এবং পাঁচটি পাপড়িযুক্ত। ফুলগুলোর ব্যাস গড়ে চার ইঞ্চি এবং গ্রীষ্ম ও শরৎকালে ফোটে। জবা ১০ সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই এর নিচের তাপমাত্রার অঞ্চলে জবাগাছ কাচের ঘরে জন্মে।

ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জবা। বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চোখ ওঠা দূর করতে জবাপাতার প্রলেপ দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগী সুস্থ হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবাপাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে উপকার হয়।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি