সিনিয়র শিক্ষক
২৭ জুলাই, ২০২১ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
ড্রাগন ফল কি?
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: নবম
বিষয়: কৃষি শিক্ষা
অধ্যায়: দ্বাদশ অধ্যায়
ড্রাগন ফল কি?
ড্রাগনের নাম আমরা সচারচর গল্প, সিনেমা ইত্যাদি জায়গাতে শুনে থাকি। তবে আমরা আজ ড্রাগনের ব্যাপারে না পড়লেও, পড়বো ড্রাগন ফল সম্বন্ধীয় বিষয় বিষদে আলোচনা করবো। ড্রাগন ফল ভিন্ন জায়গা তে ভিন্ন নামে প্রচলিত, যেমন হিন্দি তে ড্রাগন ফল ‘পিতায়া’ নামে প্রচলিত। তবে বাংলা তে ড্রাগন ফলের কোন ভিন্ন নাম নেই বলেই জানা যায়। এই ফলটি খেতে অনেকটা তরমুজ আর কিউই-র মতন । ড্রাগন ফলের উৎপত্তিস্থল আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া । এখন সারা বিশ্বে এই ফলের চাষ হয়। ড্রাগন ফল শরীরের জন্য খুব উপকারি, এবং এতে অনেক পুষ্টি রয়েছে। যেমন ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ৩, লোহা, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি ১, ফস্ফোরাস, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন সি ৫ ইত্যাদি , যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলের সুবিধা কি? (What
are the benefits of Dragon Fruit in Bengali)
- ড্রাগন ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রি্য়া কি? (What are the Side-Effects of
Dragon Fruit in Bengali)
ড্রাগন ফলের সুবিধা কি? (What are
the Benefits of Dragon Fruite in Bengali)
- ওজন কমানো – ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে শরীরের মেদ কম হয়। ড্রাগন ফলে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন থাকে, যেই কারণে শরীরের ওজন বাড়েনা। সুস্থ থাকতে চাইলে স্যালাদে ড্রাগন ফল খাওয়া ভুলবেন না। ( স্থূলতার চিকিৎসা সম্বন্ধে পড়ুন)
- হাঁপানি রোগে ড্রাগন ফলের সুবিধে- হাঁপানি, সর্দি কাশি এবং স্নায়ু জরীত রোগ আমাদের জীবনে মারাত্মক আঘাত আনতে পারে, এবং আমদের প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে। এই রোগ ফেলে রাখা উচিত নয়, এবং এই রোগের চিকিৎসা সময় মতন করা উচিত। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিনের উপস্থিতি থাকে, যেই কারণে, এই ফল হাঁপানি রোগ সারাতে লাভদায়ক।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ – ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফস্ফোরাস আর ভিটামিন বি ২ পাওয়া যায় সাথেই এই ফলে এমন উপাদান থাকে যা শরীরের বিষাক্ত (Toxins) পদার্থগুলি অপসারণে সহায়তা করে। যার ফলে এই ফল সেবন করলে ক্যান্সার রোগ শরীরে জন্মাতেই পারেনা।
- চুলের জন্য ড্রাগন ফলের উপকারিতা – চুল ঝরে পরা কমায়। এতে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা অামাদের চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সাথে সাথেই চুলের ডগা মজবুত বানাতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে- কোষ্ঠকাঠিন্যো তে মল খুব শক্ত হয় যায়। ড্রাগন ফলে জলের মাত্রা প্রচুর হওয়ায় এই ফল ব্যক্তি কে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এছাড়াও শরীরের বিপাকিয় ব্যবস্থা এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ( কোষ্ঠকাঠিন্যের ব্যাপারে পড়ুন)
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি – ত্বক যত্নের অনেক প্রক্রিয়া চারিদিকে ছরিয়ে আছে, তবে সেই গুলো কতোটা লাভদায়ক তা বলা মুশকিল তবে, ড্রাগন এমন একটি ফল যেটিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন পাওয়া যায়, যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
- ডায়বিটিজ- সুগার অথবা ডায়বিটিজ একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগ কে নিয়মিত চেক-আপে রাখা উচিত। এই রোগে রক্ত সুগারের পরিমাণ যতো কম রাখা যায় রোগির জন্য ততোই ভালো। ড্রাগন ফলে অনেক ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা রক্তে সুগারের স্তর কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরে ইনসুলিন বানাতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফল কে প্রতিদিনের আহারে রাখার চেষ্টা করুন। (ডায়াবিটিজ সম্পর্কে জানুন)
- হজম শক্তির বৃদ্ধি – প্রতিদিনের জীবনে সুস্থ থাকতে হলে হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখা খুব প্রয়োজন। হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে ড্রাগন ফল সেবন করুন। এই ফলে উপস্থিত ফাইবার খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা হতে দেয়েনা।
ড্রাগন ফলে পার্শ্ব প্রক্রিয়া কি? (What are the
Side-Effects of Dragon Fruit in Bengali)
আমরা এতোক্ষণ ধরে ড্রাগন ফলের অনেক সুবিধার কথা জানলাম। কিন্তু ড্রাগন ফলের কিছু সমস্যাও আছে যেই গুলোর ব্যাপারেও আমাদের জানা দরকার। চলুন জেনে নি ড্রাগন ফলের পার্শ্ব প্রাক্রিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে-
- কিছু ব্যাক্তির ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ায় হয়। (ডায়রিয়ার ব্যাপারে পড়ুন)
- ড্রাগন ফল সেবন করার অনেক সুবিধে, তবে অধিক মাত্রায় এই ফলের সেবন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে যদি আপনি কোনও ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েন তবে তাৎক্ষনিকভাবে ড্রাগন ফল খাওয়া বন্ধ করুন এবং আপনার নিকটস্থ কোনও সাধারণ চিকিৎসকের (General Physician ) সাথে যোগাযোগ করুন।