Loading..

খবর-দার

৩১ জুলাই, ২০২১ ০৮:৩২ অপরাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সমূহ

                  

স্বাধীনতাযুদ্ধে গেরিলাদের প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধগুলো ছিল পরিকল্পনাহীন ও অপ্রস্তুত। ২৬শে মার্চ  সারা দেশে প্রতিরোধ  শুরু হয় এবং এপ্রিলের শুরুতেই  অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।কিন্তু অস্ত্রপ্রাপ্তি ও প্রশিক্ষণ এই দুই এর ঘাটতির কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই পরিকল্পিত রূপ পেতে পেতে জুন মাস পার হয়েছিল।১১জুলাই বাংলাদেশের সামরিক কমান্ড তৈরি করা হয়।কর্ণেল (অবঃ) মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীকে বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে বাংলাদেশকে  সর্বমোট ১১টি সেক্টরে  ভাগ করা হয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী থেকে  পালিয়ে  আসা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়।

১নং সেক্টর

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেনী নদী পর্যন্ত

মেজর জিয়াউর রহমান(এপ্রিল-জুন)

মেজর রফিকুল ইসলাম (জুন-ফেব্রুয়ারি)

২নং সেক্টর

নোয়াখালী জেলা,কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ

মেজর খালেদ মোশাররফ(এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)

মেজর এ,টি,এম হায়দার(সেপ্টেম্বর _ফেব্রুয়ারী)

৩নং সেক্টর

সিলেট জেলার হুবিগঞ্জ মহকুমা,কিশোরগঞ্জ মহকুমা,আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর –পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা  জেলার অংশবিশেষ

মেজর কে,এম,শফিউল্লাহ(এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)

মেজর এ,এন,এম,নুরুজ্জামান( সেপ্টেম্বর-ফেব্রুয়ারী)

৪ নং সেক্টর

সিলেট জেলার পূর্বাঞ্চল এবং  খোয়াই-শায়েস্তাগঞ্জ রেললাইন বাদে পূর্ব ও উত্তর দিকে সিলেট –ডাউকি সড়ক পর্যন্ত

মেজর সি,আর,দত্ত

৫ নং সেক্টর

সিলেট –ডাউকি সড়ক থেকে  সিলেট জেলার সমগ্র উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল মীর শওকত আলী।

 ৬নং সেক্টর

সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুম উইং কমান্ডার এম,কে,বাশার

৭ নং সেক্টর

দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল,বগুড়া,রাজশাহী এবং পাবনা জেলা মেজর কাজী নুরুজ্জামান

৮ নং সেক্টর

সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জলা ,ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ

মেজর আবু ওসমান চৌধুরী(এপ্রিল-আগস্ট)

মেজর এম,এ,মনজুর (আগস্ট-ফেব্রুয়ারি)

৯ নং সেক্টর

দৌলতপুর –সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল  এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা।

মেজর এম,এ, জলিল (এপ্রিল-ডিসেম্বর প্রথমার্ধ)

মেজর জয়নুল আবেদীন ( ডিসেম্বরের অবশিষ্ট দিন)

১০ নং সেক্টর

কোনো আঞ্চলিক সীমানা নেই।নৌবাহিনীর কমান্ডো দ্বারা  গঠিত।শত্রুপক্ষের  নৌযান ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে পাঠানো হত।

১১নং সেক্টর

কিশোরগঞ্জ মহকুমাবাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাংগাইল জেলা এবং  নগরবাড়ি-আরিচা থেকে ফুলছড়ি –বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত যমুনা

নদী  ও তীর অঞ্চল।

মেজর জিয়াউর রহমান(জুন-অক্টোবর)

মেজর আবু তাহের (অক্টোবর-নভেম্বর)

স্কোয়াড্রন লীডার এম হামিদুল্লাহ খান(নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি)