Loading..

ম্যাগাজিন

০২ আগস্ট, ২০২১ ০৭:৩৫ অপরাহ্ণ

যে ৭টি শখ তোমাকে আরো স্মার্ট করে তুলবে!

যে ৭টি শখ তোমাকে আরো স্মার্ট করে তুলবে!

*   বেশি বেশি বই পড়ো:

বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের চিন্তা করার জগৎ বিস্তৃত হয়। তাই বলে সবসময় একই ধরণের বই পড়লে ব্যাপারটা উপভোগ্য হবে না। একেক সময় একেক ধরণের বই পড়লে, বই পড়ার সময় একঘেয়েমি ভাবটা আর থাকে না। বরং পড়ার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা তৈরি হয়।

নিয়মিত বই পড়ার ফলে মাথা থেকে দুশ্চিন্তা বেড়িয়ে যায়। একেক ধরণের বইয়ে থাকে একেক ধরণের শিক্ষণীয় বিষয়। যা থেকে আমরা নানান কিছু শিখতে পারি। বই পড়ার ফলে নিজের ভেতর এক ইতিবাচক চিন্তা জাগ্রত হয়। অন্য কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসাটা জরুরি! আর সেই ভালোবাসাটা গড়ে ওঠে বই পড়ার মাধ্যমে।

এছাড়াও বই পড়ার ফলে কোনো সমস্যার সমাধান সহজেই পাওয়া যায়, প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে এবং নিজ উদ্দেশ্য সহজেই হাসিল করা যায়। বই পড়ার ফলে নেতিবাচক মনোভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি তিন ধরণের বুদ্ধিমত্তা তৈরি হয়- ক্রিস্টালাইজড, ফ্লুইড এবং ইমোশনাল। এগুলো সমস্যা দূর করতে, অন্যের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে।

তাই তো বলা হয়, “A room without books is like a body without a soul.”

~Marcus Tullius Cicero

2️⃣সময় পেলেই ধ্যানে বসো:

ধ্যান বা মেডিটেশন হলো মনের ব্যায়াম। সুনসান শান্ত কোনো জায়গায় বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলনের মাধ্যমে আত্মতুষ্টি অর্জনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় মেডিটেশন। মেডিটেশনের মাধ্যমে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনের কষ্ট দূর হয়ে যায়। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং আমরা আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠি। ধ্যান বা মেডিটেশনের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো নিজের উপর ফোকাস করতে এবং নিজেকে জানতে সহায়তা করে। মেডিটেশনের মাধ্যমে সবধরণের চিন্তা ও মানসিক অবসাদ দূর হয়।

3️⃣নিজের ব্রেইনে শান দাও:

আমরা ব্যায়াম করি কেনো? সবাই বলবে ফিট থাকার জন্য। কিন্তু শুধু শরীর ঠিক রাখলেই কি চলবে? নিজের মস্তিষ্কটারও তো খেয়াল রাখতে হবে! নিয়মিত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজের ব্রেইনটাকে একটু খাটাও! নাহলে জং ধরে যাবে যে! চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ফলে মস্তিষ্ক থাকবে চকচকে ছুরির মতো ধারালো। এখন আমাদের প্রশ্ন হলো আমরা আমাদের মস্তিষ্ক কীভাবে শার্প রাখবো? এরজন্য আমরা শব্দজট, সুডোকু, বোর্ড গেম, পাজল, ধাঁধা ইত্যাদি খেলা খেলতে পারি। এগুলো খেলতে গিয়ে প্রচুর মাথা খাটাতে হয়। এতে বুদ্ধির ব্যায়ামটাও হয়ে যাবে।

4️⃣নিয়মিত ব্যায়াম করা:

যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে, তারা কিন্তু সবসময় অন্যদের থেকে সব কাজেই অনেকাংশে এগিয়ে থাকে। তাদের স্ট্যামিনা হয় সাধারণ মানুষদের তুলনায় বেশি। তারা সবসময় থাকে সতেজ এবং প্রাণবন্ত! আর বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটা সময়, যেখানে ছেলে-মেয়ে সবারই উচিত শরীরের যত্ন নেওয়া। ব্যায়াম করা মানে এই না যে জিমে যেয়ে ডাম্বল উঠিয়ে সিক্স প্যাক, এইট প্যাক বানাতে হবে!

সকালে উঠে একটু হাঁটা, কোমর ধরে উঠবস করা; এইসব টুকটাক জিনিস প্রতিদিন নিয়ম মেনে করলেই কিন্তু আমরা ফিট থাকবো। এছাড়াও সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো কিন্তু অনেক বড় ব্যায়াম। এগুলো করলে শরীরচর্চার পাশাপাশি খেলাধুলাও হলো। এগুলোর ফলে শরীরের সব পেশি সচল থাকে, রক্তা সঞ্চালন সঠিকভাবে ঘটে। তবে ব্যায়াম করার পাশাপাশি পরিমিত ঘুম এবং ৬-৭ গ্লাস পানি পান করাও উচিত।

5️⃣নতুন ভাষা শেখা:

আমাদের কাছে কেন যেন বিদেশি ভাষা মানেই হলো ইংরেজি। এটা ছাড়া মনে হয় আর কোনো ভাষা নেই৷ তবে সত্যি কথা বলতে তুমি ইংরেজি শিখে যত ভাল চাকরি পাবে, এরচেয়ে ভাল চাকরি হয়তো মান্দারিন বা কোরিয়ান ভাষা শিখে পেতে পারো। বাংলা- ইংরেজি, এতে তো আমরা সবাই পারদর্শী, এর পাশাপাশি স্প্যানিশ, কোরিয়ান বা জাপানিজ ভাষাটা রপ্ত করে নিলে কিন্তু মন্দ হয় না। কোথাও কোর্স করে, কিংবা অনলাইনেই চাইলে খুব সহজেই বিদেশি ভাষা শেখা সম্ভব।

নতুন ভাষা শিখতে গেলে সেই ভাষাটা একদম শুরু থেকে শিখতে হয়। শব্দার্থ, বাক্য গঠন, ব্যাকরণ সব শিখতে হয়, যা আমাদেরকে অন্যদের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি স্মার্ট করে তোলে। অনেক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, যারা দুইয়ের অধিক ভাষায় পারদর্শী, তারা অন্য মানুষদের চেয়ে ভাল এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়।

6️⃣ডায়েরি লিখা:

আমরা আমাদের মনের ভাব নানান মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। এর মধ্যে একটা হলো ডায়েরি লিখা। ছোটবেলায় নিজেদের ডায়েরি মায়ের হাতে পড়েনি, এমন মানুষ হয়তো খুব কষ্টে পাওয়া যাবে!

ডায়েরির পূর্ণ অর্থ হলো- Diary: Dear I Always Remember You.

কেননা আমরা ডায়েরিতে আমাদের দিনলিপি লিখে থাকি। আজকে আমার সাথে কী কী ঘটলো, কোনো বিষয় সম্পর্কে আমার অনুভূতি, মনের কোনো চাপা কষ্ট- সবকিছু আমাদের এই ডায়েরি বন্ধুটি জানে। আর এই ডায়েরি লিখার মাধ্যমে কী হয় জানো?

আমাদের লিখার হাত ভাল হয়। যেকোনো বিষয়ে আমরা চট করে লিখে ফেলতে পারি। আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা অন্যদের থেকে বেশি হয়। সেই সাথে সৃজনশীলতা তো বৃদ্ধি পায়ই।

7️⃣রান্না করা:

আমরা অনেকেই ভাবি যে রান্না করা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। তবে রান্না করা কিন্তু খুবই কঠিন আর অ্যাডভেঞ্চারাস কাজ। লবণ দিলাম নাকি, কতটুকু দিলাম, এইটার সাথে এইটা মেশালে টেস্ট কেমন হবে- এরকম নানান এক্সপেরিমেন্ট একমাত্র রান্না করতে যেয়েই করা সম্ভব। আর কে জানে, তুমি হয়তো এইভাবে এক্সপেরিমেন্ট চালাতে চালাতেই একজন বড় শেফ হয়ে উঠবে!

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি