Loading..

খবর-দার

০৩ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৯ অপরাহ্ণ

অক্সিজেন ও খাবার নিয়ে ছুটছেন তারা

করোনার সংকটকালে শহরে অক্সিজেন পাওয়া গেলেও গ্রামে তা প্রায় দুর্লভ। এ সময়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিভিন্ন গ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। সঙ্গে কর্মহীনদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছেন। শিক্ষার্থী ও তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবতার জন্য’ এ সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সূত্রে জানা যায়, পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে কাজ করছেন একজন করে টিম লিডার। বিত্তবান, প্রবাসী ও নিজেদের অর্থায়নে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে এ সংগঠনটি।

প্রথম পর্যায়ে গত বছরের মার্চ মাসে টিমের সদস্যের নিজদের অর্থায়নে পৌরসভাসহ বিভিন্ন গ্রামে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করেছেন সদস্যরা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, মাস্ক বিতরণ, জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের সচেতন করে তোলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হয়। উপজেলায় একসঙ্গে এক হাজার অসহায় দরিদ্র ও দিনমজুর কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সংগঠনটি উপজেলার মধ্যবিত্ত কর্মহীন পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পড়ুয়া অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে জরুরি উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়। এই কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন মধ্যবিত্ত পরিবার এবং অসচ্ছলদের মাঝে খাবার, নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

শহরের এক বিধবা তিন মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। তার পাশে দাঁড়ায় এ টিম। মহিলার বাড়িতে পৌঁছে দেন খাদ্যসামগ্রী। টিনশেডের ঘর নির্মাণ ও সেলাইমেশিন দেয়া হয় তাকে।

তৃতীয় ধাপে মঙ্গলবার দুপুরে চালু করেছে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে পৌঁছে দেয়া হয় অক্সিজেন সিলিন্ডার। অক্সিজেন সেবায় সহযোগিতা করেছেন রায়পুরের ইউএনও-ওসিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও দানশীল ব্যক্তিরা।

এ টিমের নেতা আবদুর রহমান তুহিন যুগান্তরকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। রায়পুর উপজেলা ‘সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী পরিবারের’ ফ্রি অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম শুরু করেছি। মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম দিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবিরের মা কুলসুমা বেগমকে (মধুপুর মুন্সিবাড়ী) করোনা পজিটিভ নিয়ে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অক্সিজেন ব্যবস্থা (সাময়িক) শর্ট হয়ে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়। অ্যাডভোকেট হুমায়ুনের ফোন পেয়েই তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেই।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কেরোয়ার বশির উল্লাহ পণ্ডিতবাড়ির ফজলুল করিম অসুস্থ হন। তার ছেলে সাদ্দাম হোসেনের ফোন পেয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হয়। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আগামীর সুস্থ পৃথিবী চাই। এ ফরিয়াদ মহান প্রতিপালকের কাছে।

রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী বলেন, সম্মিলিত এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা তাদের সহযোগিতা দিচ্ছি এবং পাশে থাকার চেষ্টা করছি।