Loading..

প্রকাশনা

০৮ আগস্ট, ২০২১ ০৬:৫৮ অপরাহ্ণ

সহ-শিক্ষা বা কো এডুকেশন অর নট"?




ছবি সূত্র - গুগল

সহ-শিক্ষা বা কো- এডুকেশন মানে ছেলে - মেয়ের লেখাপড়ার জন্য একসাথে অবস্থান কেই বুঝায়।এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলে-মেয়ের একত্রে মেলা-মেশা,কথা-বার্তা ,চলা-ফেরায় কোনরুপ প্রাতিষ্ঠানিক বাধা না থাকাকেই বুঝায়।

আমার মনে হয় এর দুইটি দিকই রয়েছে।এর যেমন উপকারী বা ভাল দিকও রয়েছে তেমনি অপকারী বা ক্ষতির আশংকা ও মনে হয় কম নয়।

প্রথমে উপকারী দিকের দিকে তাকাই -

কোন এক বাণী পড়েছিলাম "এই পৃথিবীতে কল্যানকর যা কিছু তৈরী হয়েছে তার অর্ধেক করিয়েছে নর আর অর্ধেক করিয়েছে নারী।" কাজেই নারীর সহযোগীতায় পৃথিবী এগিয়ে যাবে আর সেই সহযোগীতার ভিওি গড়ে উঠতে পারে কো- এডুকেশনের মাধ্যমে।

"সহ-শিক্ষা কর্ম জীবনে সফলভাবে কাজ করার ভিত্তি গড়ে দেয়। ছেলে-মেয়ের পারস্পরিক মেলা-মেশার মধ্য দিয়ে তারা পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়ার শিক্ষা পায় এবং উভয়ে উভয়কে ভালভাবে বুঝতে পারে যা তাদেরকে পরবর্তিতে কর্মজীবনে বিপরীত লিংগের সহকর্মীর সাথে সঠিক আচরন করতে সহায়তা করে"।


ছবি সূত্র - গুগল

"সর্বোপরী "নার-নারী "র একের প্রতি অন্যের আকর্ষন দূর্নিবার। এ সৃষ্টির ই নিয়ম। উভয়েই বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষিত হয় এবং উভয়ে উভয়ের সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে চায়।আর এই জানা ও বুঝার ক্ষেত্রে সহ-শিক্ষা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে"।

এবার নজর দেই ক্ষতি বা কুফল এর দিকে -

যেহেতু "নার-নারী "র একের প্রতি অন্যের আকর্ষন দূর্নিবার।আর এই সহ-শিক্ষা আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করবে।অপরিণত মানষিকতা,কৈশোরপ্রাপ্ত বা সুযোগ সন্ধানী ছেলে-মেয়েদের যখন এ সুযোগ মিলবে তখন একটা কিছু করবে এটা নিশ্চিত।তা ভাল খারাপ দু রকমই হতে পারে।আর এর প্রভাব ছেলে-মেয়ে উভয়ের জীবনেই সুদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলে (এরকম বহু নজির আমাদের সমাজে বর্তমান ) ।
কিশোর অপরাধ,কৈশোরে গর্ভধারন,অনাকাংখিত গর্ভধারন, অসম বয়সী সম্পর্ক, পরকীয়া এসবের বেশীরভাগের ই হাতে খড়ি হয়
সহ-শিক্ষা র মাধ্যমে।[sb

সহ-শিক্ষা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?

ইসলামের দৃষ্টিতে সহ-শিক্ষা নিষিদ্ধ নয় তবে তা ইসলামের পর্দা প্রথার সাথে মিলেনা।আর তাই আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন- "হে নবী! আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত"। (সুরা আল নূর – ২৪ ঃ ৩০)

নবী করিম (সঃ) বলেছেন- " মহিলারা হলো পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং, তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের দৃষ্টিতে) সুসজ্জিত করে দেখায়"। (তিরমিযী, মেশকাত)
তাই সহ-শিক্ষা ব্যাপারে ইসলামিক দৃষ্টিভংগি হলো - " ছেলে-মেয়েরা পৃথক পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থেকে শিক্ষা গ্রহন করবে। আর কারো যদি সে সুযোগ না থাকে তবে পরিপুর্ন পর্দা অবলম্বন করে জ্ঞান অর্জন করবে "।

সব শেষে ,সব কিছুরই ভাল-খারাপ দুটি দিক আছে।কোন কিছুই এ দুনিয়ায় শতভাগ ভাল না আবার খারাপ ও না।যে কোন কিছুর ভাল খারাপ নির্ভর করে তার প্রয়োগ ও পরিমিতি বোধের উপর।যদি ছেলে-মেয়ে (নারী-পুরুষ) উভয়ে উভয়ের উপর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হ্য় ও সম্মান প্রদর্শন করে, যাবতীয় পংকিলতা ও পাপাচার থেকে নিজেদের হেফাজত করে এবং উভয়ে উভয়কে সহযোগীতার মন নিয়ে সহযোগীতা করে তাহলে সহ-শিক্ষা হতে পারে নিজেকে/দুনিয়াকে ভাল কিছু দেয়ার মাধ্যম হিসাবে।

আর তা যদি না হয় তবে সহ-শিক্ষা হতে পারে উভয়ের জীবনের জন্য এক অভিশাপ ।ব্যাপারটা এমন, নিয়ম মেনে,পরিমানমত ও সঠিক ঔষধ খেলে ঔষধে অসুখ খেয়ে ফেলে আর তা না করে বেঠিক, অনিয়মিত, ও অপরিমিত ঔষধ খেলে ঔষধে জীবন খেয়ে ফেলে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি