Loading..

নেতৃত্বের গল্প

১০ আগস্ট, ২০২১ ০৮:৪৬ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন আমার মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন দুর্যোগের মোকাবেলা করেছে কিন্ত শিক্ষায় কখনো দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়নি। এই করোনা ভাইরাসের সংক্রামন ঠেকাতে স্কুল, কলেজ,  মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে ঠিকই কিন্তু সরকার উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অনলাইনে পাঠদানের দিকে মনোযোগী হয়ে বিভিন্ন পদ্বতি চালু করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলাস্থ আনোয়ারা উপজেলাধীন বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া আলিম মাদ্রাসায় আমি কম ইন্টারনেট ব্যবহার করে WhatsApp গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে অনলাইন ক্লাসে সংযুক্ত করি।

করোনার শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমি শ্রেণি শিক্ষকগণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সাথে ফোনের যোগাযোগ করে WhatsApp নাম্বার সংগ্রহ করি এবং  প্রতি ক্লাসের জন্য আলাদা গ্রুপ তৈরী করি। উক্ত গ্রুপে সকাল ১০টায় শিক্ষকগণ রুটিন অনুযায়ী  প্রশ্ন দেন এবং উক্ত প্রশ্নের আলোকে "বখতিয়ার পাড়া চারপীর আউলিয়া অনলাইন মাদ্রাসা" ফেইজবুক পেইজ এ অনলাইন ক্লাসকরেন, শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস দেখে WhatsApp সরবরাহকৃত প্রশ্নের উত্তর লিখে বিকাল ৪টার মধ্যে ছবি তোলে শ্রেণিভিত্তিকক গ্রুপে আপলোড দেয় এবং শিক্ষকগণ রাত ৯টার মধ্যে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে সংশ্লিষ্ট গ্রুপে আপলোড করেন। উক্ত মূল্যায়ন দেখে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে নিতে পারে।

আমি অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ বাড়াতে অত্র এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও গভর্নিং বডির সদস্য দ্বারা ভিডিও বার্তা আপলোড করি। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় ৮০% শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ায় সংযুক্ত রাখতে পেরেছি।

পাশাপাশী সংসদ টেলিভিশন, অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়েও ধারাবিহীকতা রক্ষা করি।  আমার এই অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রমের জন্য আনোয়ারা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রশংসা পত্র দেন।

আমি বিশ্বাস করি এই নিয়ম যে কোন প্রতিষ্ঠান ফলো করলে আশানুরূপ রেজাল্ট পাবেন। আমার এই পদক্ষেপ যদি কাহারো উপকারে আসে তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।