Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

রিসেট

২০ আগস্ট, ২০২১ ০৩:২০ অপরাহ্ণ

মুদ্রা

   মুদ্রা  মুদ্রা বলতে সাধারণত এমন একটি ধাতবখন্ডকে বুঝায়, যার একটি নির্দিষ্ট ধাতব বিশুদ্ধি (মেটালিক পিওরিটি) এবং নির্দিষ্ট তৌলরীতি (ওয়েট স্ট্যান্ডার্ড) আছে। নির্দিষ্ট তৌলরীতির ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট ধাতব বিশুদ্ধির ওপর নির্মিত এই ধাতবখন্ড যখন বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত ও ব্যবহূত হয় তখন তা মুদ্রা বলে গণ্য হয়ে থাকে। মুদ্রার তৌলরীতি ও ধাতব বিশুদ্ধিকে নিশ্চিত ও স্থিরীকৃত করতে কোন বিশেষ এলাকার সার্বভৌম রাজনৈতিক শক্তি মুদ্রার ওপর নানা প্রতীক, নকশা ও লেখ উৎকীর্ণ করার ব্যবস্থা নেয়। বিভিন্ন প্রকার মুদ্রা সংগ্রহ ও তার গবেষণা হল মুদ্রা সংক্রান্ত বিদ্যা। এ মুদ্রাই প্রাচীন ইতিহাস পূণর্গঠনে ইতিহাসের পুরাতাত্ত্বিক সূত্র হিসেবে কার্যকরী একটি মাধ্যম।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস চর্চার অন্যতম প্রধান অন্তরায় লিখিত ঐতিহাসিক রচনার অভাব। তাই প্রাচীন ইতিহাস গ্রন্থ থেকে যতটুকু তথ্য নিষ্কাশন করা যায়, তার সঙ্গে পুরাতাত্ত্বিক সাক্ষ্য প্রমাণ না মেলালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাস অস্পষ্ট রয়ে যায়। তাই দক্ষিণ এশিয়ার সুদূর অতীতকে অনুধাবন করতে গেলে পুরাতাত্ত্বিক সাক্ষ্য অপরিহার্য হয়ে দেখা দেয়। এই পুরাতাত্ত্বিক তথ্যসূত্রগুলির মধ্যে থাকে লিপি, মুদ্রা, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান এবং উৎখনন ও শিল্পসামগ্রী (যেমন ভাস্কর্য, স্থাপত্য এবং চিত্রকলা)। প্রাচীন ইতিহাসের পঠন-পাঠনে (বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গে) মুদ্রা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ আকর তথ্যসূত্র। মুদ্রায় অঙ্কিত প্রতীক, নকশা ও লেখ কোন এক সার্বভৌম রাজার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে, আবার সেগুলি সামগ্রিকভাবে কোন বিশেষ রাজবংশের সঙ্গেও জড়িত হতে পারে।

মন্তব্য করুন

সম্পর্কিত পোস্ট