Loading..

মুজিব শতবর্ষ

২২ আগস্ট, ২০২১ ০৫:১৯ অপরাহ্ণ

অনুসৃত হোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের পাটগাতী ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। তাই এ বছরটিকে মুজিববর্ষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। নানা আয়োজনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার প্রস্তুতি চলছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুকাল থেকেই ছিলেন জনদরদী। শিশু মুজিব দরিদ্র ও অসহায় ছাত্রদের শিক্ষা প্রদানের জন্য নিজ পরিবারসহ পাড়া প্রতিবেশী থেকে চাল সংগ্রহ করতেন। তিনি অনেক ছাত্রের লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত অসংখ্যবার কারাবরণ করেছেন। তিনি নিজ আদর্শ এবং দেশের মানুষের কল্যাণের ব্রত থেকে সরে যাননি কখনও।

মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য পাকিস্তানিদের শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তিনি মানুষের জন্য লড়াই করেছেন, অধিকাংশ সময় অসহায় জীবনযাপন করেছেন। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত করলেও তিনি সুকৌশলে এগিয়েছেন কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার দিকে।

স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর আক্রমণ হতে পারে- ভারত, কানাডাসহ বহু দেশ থেকে এমন সতর্কবার্তা দেয়া হলেও বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করেছিলেন তার অফিসারদের;

তিনি বলেছিলেন, সবাই তার সন্তান, তারা এমন কাজ করতে পারে না। তিনি আরও বলেছিলেন,প্রাণের ভয়ে তিনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেবেন না। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঝুঁকির কথা জেনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাননি। অথচ আজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নামে রাজনীতি করা অনেক ব্যক্তি এখন নিজেদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো জীবনকাল ছিল দেশ ও দেশের কল্যাণে নিবেদিত, যেখানে ছিল না কোনো বিলাসিতা, ছিল না অর্থের লোভ, ছিল না হিংসা-বিদ্বেষ। ছিল শুধু দেশের জন্য ও সাধারণ মানুষের জন্য ভালোবাসা এবং ভালো রাখার প্রচেষ্টায় ভরা বিশাল হৃদয়। তাই মুজিববর্ষে আমাদের প্রত্যাশা হল- শুধু মুখে নয়, মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হোক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকালের নানা জনকল্যাণমুখী কাজের মতো কর্ম দিয়ে।

প্রত্যাশা থাকবে, বাঙালি জাতির জনকের আদর্শের রাজনীতির বাহক হবে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থকরা এবং দলমত নির্বিশেষে দেশের তরুণরা। তারা দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর মতোই নিঃস্বার্থে কাজ করবে, অহঙ্কারমুক্ত থাকবে, মানুষের সঙ্গে মানুষের ভেদাভেদ না করে সব ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়বে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি