সহকারী শিক্ষক
২৩ আগস্ট, ২০২১ ০২:৪৯ অপরাহ্ণ
বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: পঞ্চম
বিষয়: আমার বাংলা বই
অধ্যায়: ষষ্ঠ অধ্যায়
স্বাধীনতা
যুদ্ধে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি
পেয়েছেন বাংলার ৭ বীর। এর মধ্যে অন্যতম একজন হলেন নূর মোহাম্মদ শেখ। ৫ সেপ্টেম্বর
দেশের এ বীরের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও
ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন রণাঙ্গনের লড়াকু এ সৈনিক।
নূর মোহাম্মদ শেখের
জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, নড়াইল জেলার মহিষখোলা
গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ, মা জেন্নাতুন্নেসা।
শৈশবেই বাবা-মাকে হারানোয় পড়াশোনা করতে পারেননি বেশি। ১৯৫৯ সালে যোগ দেন পূর্ব
পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ। ১৯৭০ সালে ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হয়ে আসেন যশোর
সেক্টর সদর দফতরে।
১৯৭১
সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসেন নূর মোহাম্মদ। জাতির
ক্রান্তিলগ্নে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি তিনি। যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে।
১৯৭১-এর ৫ সেপ্টেম্বর নূর মোহাম্মদকে অধিনায়ক করে একটি স্ট্যান্ডিং পেট্রল পাঠানো
হয় যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে। টের পেয়ে পাক সেনারা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে
তাদের। শুরু হয় গুলিবর্ষণ। সহযোদ্ধাদের বাঁচাতে জীবনবাজি রেখে আক্রমণের মোকাবিলা
করতে থাকেন নূর মোহাম্মদ শেখ। এক পর্যায়ে কামানের গোলার আঘাতে লুটিয়ে পড়েন
সেখানেই। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করেন সহযোদ্ধারা।
যশোরের
কাশিপুর গ্রামে সমাহিত আছেন এই বীর যোদ্ধা।