Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৫ আগস্ট, ২০২১ ০৪:৩৭ অপরাহ্ণ

অপটিক্যাল ফাইবার সমগ্র পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে। দ্রুততম সময়ের ভিতর পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ করা যায়।

অপটিক্যাল ফাইবার সমগ্র পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে দিয়েছে।

অপটিক্যাল ফাইবার এক ধরনের কাচের সরু তন্তু। এই সরু তন্তু কে অপটিক্যাল ফাইবার বলে।

ইতিহাস

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল কনসেপ্ট প্রথম আবিস্কার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী Claude Chappe কর্তৃক ১৭৯০ সালে আবিস্কৃত অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ। এই পদ্ধতিতে মনুষ্য অপারেটর এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে বার্তা পাঠাতো। কিন্তু পরে ইলেক্ট্রিক টেলিগ্রাফ আসায় এই পদ্ধতি অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৮০ সালে অপটিক্যাল টেলিফোন সিস্টেম আবিস্কার করেন যা ফটোফোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। তিনি বাতাসে আলোক সিগন্যাল পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন কিন্তু আবহাওয়া আলোকে যথার্থভাবে ট্রান্সমিট করতে পারতো না। ফলে তাঁর এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। বর্তমান ফাইবারে যে আলোর পূর্ণ আভ্যন্তরীন প্রতিফলন হয়, তা আবিস্কার করেন সুইস পদার্থবিদ Daniel Collodon ও ফরাসি পদার্থবিদ Jacones Babinet ১৮৪০ সালে। এই ধারণা নিয়ে ১৯২০ সালে Henrich Lamm এবং Munich নামের এক ছাত্র টেলিভিশনের ইমেজ বা ছবি স্বচ্ছ কাঁচদণ্ডের মধ্য দিয়ে পাঠাতে সমর্থ হন। কিন্তু তাদের আবিস্কৃত ইমেজ কোয়ালিটি খুব একটা ভাল ছিল না। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে ট্রান্সমিশন করা হতো, তার সবই ছিল আনক্লাডিং। সেই কারণে বেশিরভাগ আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সিগন্যাল দূর্বল হতো। পরবর্তিতে আমেরিকান পদার্থবিদ Brian O'Brien সর্বপ্রথম ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারে সমর্থ হন।

অপটিক্যাল ফাইবার কি?

অপটিক্যাল ফাইবার(Optical Fiber) একধরনের পাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ, সাধারণত কাঁচ অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়, যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। ফাইবার অপটিকস ফলিত বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সেই শাখা যা এই অপটিক্যাল ফাইবার বিষয়ে আলোচনা করে।

যে তথ্যটা আমরা পাঠাতে চাই তা প্রথমে বৈদ্যুৎতিক ট্রান্স মিটার এ যায়। তথ্যটা বিদ্যুৎ অর্থাৎ এনালগ সংকেত এ রূপান্তরিত হয়-মাইক্রো ফোন এর মাধ্যমে। এই এনালগ সংকেত টি PCM(Pulse code modulation) এর মাধ্যমে বাইনারি সংকেতে অর্থাৎ ডিজিটাল সংকেত এ রূপান্তরিত হয়ে আলোক উৎসে পরিণত হয়। এই আলোক উৎস টা আলোক ট্রান্স মিটার এর মধ্যে যায়-যেখানে সংকেত টা আলোকে পরিণত হয় এবং এই আলোক সংকেতটাই আলোক তন্তুর মধ্যে দিয়ে রিসিভার প্রান্তে যায়। রিসিভার প্রান্তে উল্টো ধাপের মাধ্যমে আমরা প্রেরক থেকে পাথান তথ্য টা পাই। মোটামুটি এই ভাবেই আমাদের তথ্যটা আলোক তন্তুর মাঝ দিয়ে প্রাপক এর নিকট যায়।

ইদানিং অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ এত উন্নত হয়েছে যে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক দিয়ে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত। অনেক সময়ই অপটিক্যাল ফাইবার পৃথিবীর এক মহাদেশ থেকে অন্য দেশে নেওয়ার সময় সেটিকে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নেওয়া হয়। এই ধরনের ফাইবারকে বলে  সাবমেরিন ক্যাবল।

মোবাশ্বির আহমদ

অধ্যক্ষ

বিএসডি বালিকা আলিম মাদ্রাসা

বানিয়াচং, হবিগঞ্জ

শিক্ষক বাতায়ন আইডি: bsd366

সংগৃহীত।


আরো দেখুন