Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৫ আগস্ট, ২০২১ ০৬:৫০ অপরাহ্ণ

রক্তের গ্রুপ

প্রতিটি জীবিত মানুষ জন্মগত সূত্রে শরীরে রক্ত নিয়ে জন্মায়। কিন্তু প্রতিটি মানুষের শরীরের ধরন সর্বার্থে এক হয় না। বিজ্ঞানীরা রক্তের উপাদানগত বৈশিষ্ট্যের বিচারে রক্তকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। রক্তের এই শ্রেণিবিন্যাসকে ব্লাড গ্রুপ (Blood Group) বলা হয়। ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে জীববিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার প্রথম মানুষের রক্তের শ্রেণিবিন্যাস করেন। এই শ্রেণীবিন্যাসকে সংক্ষেপে ABO ব্লাড গ্রুপ বা সংক্ষেপে ব্লাড গ্রুপ বলা হয়।

রক্তের লোহিত কণিকার প্লাজমা মেমব্রেনে এ্যান্টিজেনের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে রক্তের শ্রেণীবিন্যাস করা হয়ে থাকে। এই এ্যান্টিজোন হতে পারে- প্রোটিন, শর্করা, গ্লাকোপ্রোটিন বা গ্লাকোলিপিড। বিষয়টি নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের উপর। এ্যান্টিজোন রক্তের লোহিত কণিকার উপরিতলে বা কোনো বিশেষ কলার কোষসমূহের উপর। রক্তের লোহিত কণিকার উপরিতলে ৩০ সেট উপাদান থাকতে পারে। এই ৩০ সেট উপাদানের বিচারে ৩০টি রক্তের গ্রুপ হতে পারে। আর এই গ্রুপগুলোতে থাকতে পারে ৬০০ রকমের এ্যান্টিজোন (blood-group antigens)। রক্তের এই প্রকৃতি অনুসারে বা তারতম্যের বিচারে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সুবিধা অসুবিধা ভোগ করে থাকে। 

আরো দেখুন