Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৫ আগস্ট, ২০২১ ০৮:৪৮ অপরাহ্ণ

সেপ্টেম্বর/২১ বিদ্যালয় খুলবে, তবে............

সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠান খুলবে তবে-------

যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কোন্ কোন্ প্রতিষ্ঠান খুলবে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় যা শুনছি তা হলো যে, মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম পর্যায়ে খুলে দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হবে। করোনায় এখন পর্যন্ত দেশে প্রতিদিন ১৪০জন গড়ে মারা যাচ্ছে দেশে লকডাউন, সাটডাউন দিয়েও মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরকার সেনাবাহিনীও নামাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই নির্দেশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব ক্লাস চালু করা মঙ্গলজনক হবেনা ফেসবুক, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবর, হোয়াটসআ্যাপ, মেসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রাপ্ত সংবাদে আর অতি উৎসাহী কিছু ফেসবুক কলামিষ্টের লিখনীর ভিত্তিতে আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে অফিস খুলে ওয়ার্কসীট বিতরণ করছেন, গুগলমিটে ক্লাস নিচ্ছেন। সরকারি কোন প্রজ্ঞাপন প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলার ব্যাপারে জারিও হয়নি। যা হুজুগে কান দিয়ে করা হচ্ছে চলছে চলুক সমস্যা নাই, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবারের দায়িত্ব কি ফেইসবুক পন্ডিতরা নিবেন ? সরকারকে বলছি না কারণ সরকার তো সহনীয় পর্যায় করোনা না আসা পর্যন্ত বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে নয়। অতি উৎসাহীদের কারণে এগুলো হচ্ছে। গুগলমিটের মাধ্যমে গুটি কয়েক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে বাকীরা বাদ পড়ছে। ওয়ার্কসীট দিয়ে কোন লাভই হচ্ছে না পাড়া গাঁয়ের বিদ্যালয়গুলোতে ফাঁকা ওয়ার্কসীট শিক্ষার্থীরা এনে দিয়ে দিচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না এসব ব্যয় বহুল শিক্ষা পদ্ধতি বন্ধ করলে কী ভালো হয় না ? যেহেতু বলা হচ্ছে সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে তাহলে সব ক্লাস চালু না করে শুধু পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস চালু করলে ভালো হয়। কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার প্রস্তাবটি নিম্নরুপ- সেপ্টেম্বর ২০২১ মাসের প্রথম সপ্তাহে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয় তাহলে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান পরীক্ষামূলকভাবে সরাসরি চালু হোক। প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভাগ করে নিয়ে  পড়াবে। ক্লাস চলবে বিরতিহীনভাবে। ১০-৩টা (৩০মিনিট নামাজের খাওয়ার বিরতি) পর্যন্ত। পাঠদান চলবে সপ্তাহে ৫দিন। শিক্ষার্থীর শিখন ঘাটতি আশা করি পূর্ণ হবে। সব ক্লাস খুলে দিলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। করোনার মাত্রা কমে আসলে জানুয়ারী ২০২২ থেকে বিদ্যালয় পুরোদমে চালু করার প্রস্তাব রহিল। জানিনা বিজ্ঞ জনের কাছে আমার লিখা ভালো লাগবে কী না। তবে এটাই বাস্তবতা।

 

মোহাম্মদ শামছুন নূর

প্রধান শিক্ষক

মুরারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট এবং

ICT 4E District Ambassador