Loading..

প্রকাশনা

২১ জুলাই, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালের চাকা উল্টা ঘুরে না
আমাদের এই পরিচিত পৃথিবীটা প্রতিদিন বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছি আমরা নিজেরাও। এই বদলে যাওয়াটা বা পরিবর্তনটা অনেক সময় নিজের অজান্তেই ঘটে যায়। এই পৃথিবীতে যেদিন থেকে প্রানের উৎপত্তি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কতযে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসে পৌছেছে তার কোন হিসাব নিকাশ নেই। মানুষ এক সময় বনেজঙ্গলে, পাহাড় পর্বতের গুহায় বসবাস করতো। কাঁচা মাছ-মাংশ খেত। এসব কথা আজ আর কোন শিক্ষিত মানুষের কাছে অজানা নয়। খাদ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে সম্পদ সম্পর্কে মানুষের যখন ধারণা জন্মালো তখন থেকে এই সমাজে শুরু হল যত মারামারি কাটাকাটি। একে অপরের সম্পদ লুণ্ঠন এবং পরাজিতদের প্রথমত্ত হত্যা এবং পরে ধরে এনে দাস হিসাবে ব্যবহারের ফলে শুরু হল দাসপ্রথা। এক সময় হয়ত এমনও ছিল যে ৯৫ ভাগ মানুষই দাস আর ৫ ভাগ মানুষ দাস মালিক। বর্তমান সমাজেও কয়জন মালিক আর কয়জন শ্রমিক হিসাব করে দেখুন। যাই হোক ঐ দাস প্রথার সময়ে যাদের জন্ম তাদের মধ্যে দ’একজন ছাড়া সবাই মনে করতো এটাই সৃষ্টির নিয়ম এবং এটাই স্থায়ী। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী, দার্শনিক, মহামানব যাকে সবকিছু বললেও বলা শেষ হয়না সেই এ্যারিষ্টটলও বলেছিলেন দাসপ্রথা মানবিক, কল্যাণকর এবং এটা টিকে থাকে উচিৎ এবং থাকবে। যে দাসপ্রথায় মানুষ আর পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। পশুর মত হাটে-বাজারে দাস বিক্রি হত। ইচ্ছা হলেই দাস/দাসীদের ভোগ করা যেত। ঘোড়দৌড়, উটদৌড়, ষাঁড়ের লড়াই ইত্যাদি খেলার মত মানুষকে দিয়ে বা নিয়ে খেলা করা যেত। এই অবস্থা দেখেও এ্যারিষ্টটল বলেছিলেন দাসপ্রথা মানবিক, কল্যাণকর এবং এটা টিকে থাকে উচিৎ।

আরো দেখুন