Loading..

প্রকাশনা

২৬ জুলাই, ২০১৫ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আইটি প্রশিক্ষণে সাত বিভাগে ইন্সটিটিউট হবে: জয়
img

সহকারী শিক্ষক

আইটি প্রশিক্ষণে সাত বিভাগে ইন্সটিটিউট হবে: জয় ৫০০ মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সরকারের চলতি মেয়াদেই দেশের সাত বিভাগে ‘আইটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট’ হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উচ্চ গতির ইন্টারনেটের জন্য দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক কেবল নেটওয়ার্কে আনার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তিনি। রোববার ‘নাগরিক সেবায় ৫০০ মোবাইল অ্যাপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, “সাতটি বিভাগে একটি করে আইটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কর্মসূচি আমরা নিয়েছি; সরকারের চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।” তিনি জানান, বিটিসিএল এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের কাজ করছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ইউনিয়ন পরিষদে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের উদ্যেগ নিয়েছে। “বাকি ইউনিয়নগুলোতে ফাইবার অপটিক কেবল স্থাপনের কাজ প্রাইভেট সেক্টরকে দেওয়া হবে। সরকারের এ মেয়াদেই দেশের সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়নে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের জন্য ফাইবার অপটিক কেবল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।” তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, “আমাদের কাজ কেবল শুরু। অনেক পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। আমরা অনেক দূর স্বপ্ন দেখি।” তরুণ অ্যাপ নির্মাতের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখানে ৫০০টি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেছি। সরকারি ব্যবস্থায় যেটা করে, আমাদের অ্যাপ প্রয়োজন হলে আমরা টেন্ডার করে কোনো কোম্পানি থেকে কয়েকশ অ্যাপ বানিয়ে নিতে পারতাম। এতে সরকারের লাভ হত, অ্যাপ তৈরি হলে কাজ শেষ। “আমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগ সে কাজ করেনি, তারা কর্মসূচি নিয়েছে সাড়ে তিন হাজার তরুণকে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার। তাতে আমাদের সরকারের লাভ হয়েছে, অ্যাপগুলো হয়ে গেছে এবং আপনাদের একটি ট্রেনিংও হল।” বাঁ থেকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বাঁ থেকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ৫০০ মোবাইল অ্যাপ তৈরির পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার তরুণকে দেওয়া হয়েছে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ। ৫০০ মোবাইল অ্যাপ তৈরির পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার তরুণকে দেওয়া হয়েছে অ্যাপ তৈরির প্রশিক্ষণ। সারা দেশে ১৮ মাসে এই ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জয় বলেন, “এই ট্রেনিং নিয়ে আপনাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা হয়ে গেল, যা দিয়ে আপনারা এগিয়ে যেতে পারেন। সারা জীবন আপনারা লাভবান হবেন, এটা ছিল আমাদের সরকারের উদ্দেশ্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “এই বিভাগ হয়েছে মাত্র ১৮ মাস, এই সময়ে প্রতিমন্ত্রী পলক যেভাবে এগিয়েছে, তা আমিও কল্পনা করতে পারিনি।” সরকারের সমালোচকদের উদ্দেশে জয় বলেন, “কিছু মানুষের ধারণা আছে যে সরকার তো এমনি এমনি চলে, দেশ তো এমনি এমনি এগোতে থাকে, কোনো রাজনৈতিক সরকারের কোনো অবদান নেই। এই যে আওয়মী সরকারের উন্নয়নের গতি... এমনি এমনি হয়নি, এটি হয়েছে সরকারের প্রতিটি কর্মচারী-কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের পরিশ্রমের জন্য।” মোঃ আল তৌফিক , বাংলাদেশের তরুণরা সারা বিশ্বে ৮০ বিলিয়ন ডলারের ‘অ্যাপ মার্কেট’ থেকে নিজেদের হিস্যা আদায় করে নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫০০ মোবাইল অ্যাপসের মধ্যে ৩০০টি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার তথ্য ও সেবা নিয়ে এবং বাকি ২০০ অ্যাপস প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে পাওয়া ‘সৃজনশীল ধারণার’ ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। এসব অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বিনামূল্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে মোবাইল ফোনে ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যাবে। ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ প্রশিক্ষণ ও সৃজনশীল অ্যাপ উন্নয়ন’ কর্মসূচির আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এসব অ্যাপ তৈরি করিয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা দিয়েছে এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএএল)। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, কর্মসূচি পরিচালক ও সিসিএ’র (কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি) নিয়ন্ত্রক জি ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ইএটিএএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আরো দেখুন