Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:১০ অপরাহ্ণ

" মহাবিশ্ব- দূরবীক্ষণ যন্ত্র "

দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা দুরবিন বা টেলিস্কোপ এমন একটি যন্ত্র, যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। সাধারণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করা হয় লেন্স এবং দর্পণের সাহায্যে। এ ধরনের দুরবিনের সাহায্যে দূরের বস্তু আরো উজ্জ্বলভাবে বা অস্পষ্ট বস্তু আরো স্পষ্ট করে দেখা যায়। এগুলো সাধারণত প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিভাগ ব্যবহার করে দূরের বস্তু পর্যবেক্ষণের জন্য। আবার বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত দূরবীক্ষণ যন্ত্র বলতে এমন কৌশলকে বোঝায় যার সাহায্যে সীমিত দিক থেকে আগত তড়িচ্চুম্বক বিকিরণ বা কণা-বিকিরণ হিসেবে আগত বিকিরণ সংগ্রহ করা যায়। এ ধরনের দূরবীক্ষণ বেশির ভাগই একনলা হয়। মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র ও গ্যালাক্সি নিয়ে গবেষণা করতে বিজ্ঞানীরা এই দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন।

১৬০৮ সালে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি প্রথম তৈরি করেন হ্যান্স লিপারশে। ১৬০৯ সালে দূরবর্তী তারা পর্যবেক্ষণের জন্য ইতালীয় বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি এক চশমা নির্মাতার কাছ থেকে ধারণা নিয়ে নিজেই একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন। তিনিই প্রথম দূরবীক্ষণ যন্ত্রকে আকাশের দিকে তাক করেন এবং এর সাহায্যে বৃহস্পতির উপগ্রহ এবং শনির বলয় পর্যবেক্ষণ করেন।

১৬১১ সালে ইয়োহানেস কেপলারও একটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরি করেন। তখন পর্যন্ত প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের যুগ চলছিল, যা লেন্সের সাহায্যে কাজ করত। ১৭৩৩ সালে জেমস গ্রেগরি একটি অ্যাক্রোমেটিক ডাবলেট অবজেক্টিভ তৈরি করেন, যার মাধ্যমে প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রের প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। পরে তিনিই প্রথমবারের মতো প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন, যার মূল উপাদান হলো দর্পণ। প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরিতে অবদান আছে আইজ্যাক নিউটনেরও। বর্ণিল অপেরণমুক্ত সাধারণ লেন্স নির্মাণ বেশ কষ্টসাধ্য হওয়ায় নিউটন এ ধরনের দূরবীক্ষণ যন্ত্র তৈরিতে উৎসাহিত হন। তাঁর মতে, প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্রে যেখানে অবজেক্টিভের স্থানে লেন্স ব্যবহার করা সেখানেই দর্পণ ব্যবহার করা সম্ভব। কারণ দর্পণে ঠিক একইভাবে সব বর্ণের আলো প্রতিফলিত হয়।  

আরো দেখুন