Loading..

ম্যাগাজিন

১৫ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

চা বাগান, মোছাঃ মার্জুয়ারা বেগম, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডিমলা, নীলফামারী।

পার্বত্য ভূমিতে বাগান সৃজন করে চা চারা রোপণ করলেই কয়েক বছরের মধ্যে চা উৎপাদন সম্ভব। বিভিন্ন জাতের চায়ের সংমিশ্রণক্লোনিংয়ের সমন্বয়ে ব্লেন্ডিং করা না গেলে চায়ের গুণগত মান বাড়ানো যায় না। দেশে সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় এমন বাগানের সংখ্যা কম নয়। তবে ভালো মানের চা উৎপাদনের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় বাগানের তালিকায় রয়েছে মুষ্টিমেয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

মূলত বছর বছর নতুন জাতের চা গাছ সৃজনপর্যাপ্ত অপ্রাকৃতিক সেচ ব্যবস্থাপর্যাপ্ত শেড ট্রি বা ছাড়া গাছ রোপণসময়মতো কুঁড়ি উত্তোলন  দক্ষ শ্রমিকের সমন্বয়ে একটি বাগান ভালো মানের চা উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে। একটি রুগ্ণ চা বাগানে দীর্ঘমেয়াদি ধারাবাহিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন  মান বাড়ানো যায়। শুধু প্রাকৃতিক সেচ  পরিবেশের ওপর নির্ভর না করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে চায়ের মান বাড়ানো সম্ভব। তবে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বাগানই চা বোর্ডের হিসাবে রুগ্ণ রয়ে গেছে। তবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বেশ কয়েকটি চা উৎপাদনকারী শিল্প গ্রুপ চা খাতে তাদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

দেশে সবচেয়ে ভালো মানের চা উৎপাদনের শীর্ষস্থানটি বরাবরের মতো ধরে রেখেছে খৈয়াছড়া ডালু চা বাগান। ব্র্যাকের পরিচালিত  বাগানটি বেশ কিছুদিন ধরে ভালো মানের চা উৎপাদনের প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। শীর্ষ ২০টি বাগানের মধ্যে ব্র্যাকের অন্য বাগানগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী ষষ্ঠ  কোদালা রয়েছে ১৪তম অবস্থানে। দেশের প্রথম সারির চা উৎপাদক  বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি গ্রুপের চারটি বাগানই শীর্ষ ২০ বাগানের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে ইস্পাহানির জেরিননেপচুনমির্জাপুর  গাজীপুর চা বাগান যথাক্রমে অষ্টমনবমদশম  একাদশতম অবস্থানে রয়েছে।

২০২০ সালের হিসাবে খৈয়াছড়া বাগান সর্বোচ্চ ২৫৩ দশমিক ৪০ টাকা কেজি দরে  লাখ ৪৩ হাজার ৭৯০ কেজি চা বিক্রি করেছে নিলামে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মধুপুর বাগান ২৪৬ দশমিক শূন্য  টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩০ কেজি চা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা দারাগাঁও চা বাগান ২৩৮ দশমিক ৯২ টাকা কেজি দরে  লাখ ৪১ হাজার ৪২৯ কেজি চা বিক্রি করেছে। এছাড়া চতুর্থ আমরাইল ২৩১ দশমিক ৬৮ টাকা কেজি দরে  লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ কেজিপঞ্চম এইচআরসি গ্রুপের ক্লিভডন বাগান ২৩০ দশমিক ৯৩ টাকা কেজি দরে  লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭ কেজিষষ্ঠ অবস্থানে থাকা কর্ণফুলী চা বাগান ২২৪ টাকা কেজি দরে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯০ কেজিসপ্তম অবস্থানে থাকা বালিচেরা বাগান ২১৯ দশমিক ৯৪ টাকা কেজি দরে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৩৭ কেজিঅষ্টম অবস্থানে থাকা ইস্পাহানির জেরিন চা বাগান ২১০ দশমিক ৭৬ টাকা কেজি দরে  লাখ ৫৫ হাজার ১০৫ কেজিনবম অবস্থানে থাকা একই প্রতিষ্ঠানের নেপচুন চা বাগান ২১০ দশমিক ৬০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৩ কেজি এবং দশম অবস্থানে থাকা ইস্পাহানির মির্জাপুর চা বাগান ২১০ দশমিক ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ২৭২ কেজি চা নিলামে বিক্রি করেছে।

শীর্ষ ২০টি বাগানের মধ্যে একাদশতম অবস্থানে রয়েছে ইস্পাহানির গাজীপুর চা বাগান (প্রতি কেজি গড়ে ২১০.০২ টাকা), দ্বাদশতম ডিনস্টোন (২০৯.৭০ টাকা), ত্রয়োদশতম রাঙ্গাপানি (২০৯.৬৪), চতুর্দশতম ব্র্যাকের কোদালা চা বাগান (২০৯.৯১), পঞ্চদশতম বারমাসিয়া (২০৬.৬২), ষষ্ঠদশতম রশিদপুর (২০৬.৩৪), সপ্তদশতম রাজঘাট (২০৬.৩৪), অষ্টাদশতম লস্করপুর (২০৫.২৯), ঊনবিংশতম বারাউড়া (২০৪.২২ বিংশতম অবস্থানে থাকা ডিউন্ডি চা বাগান ২০৩ দশমিক ৪৭ টাকা কেজি দরে চা বিক্রি করেছে

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি